বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান পাকিস্তান দলের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার। বড় বড় টুর্নামেন্টে তাঁদের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকে পাকিস্তানি ভক্তরা। তবে তাঁদের ব্যাটিং ধরণ নিয়ে আলোচনারও কমতি নেই । নিয়মিত রান করলেও তাঁদের ব্যাটিংয়ে আগ্রাসী মনোভাব কম দেখা যায়। আর এই নিয়েই নিজের মতামত প্রকাশ করলেন দেশটির সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার রশিদ লতিফ।
লতিফ পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তাঁর অবিচ্ছিন্ন চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে বাবর-রিজওয়ানের নেতৃত্ব এবং ব্যাটিং কৌশলগুলির জরুরি প্রয়োজনের দিকে মনোনিবেশ করেছেন তিনি। একটি স্থানীয় ক্রীড়া প্ল্যাটফর্মে সাক্ষাৎকারে লতিফ তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এর সমাধানও দিয়েছেন।
তিনি ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ বিশ্বকাপের পর অধিনায়কত্ব সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বলে মনে করেন৷ লতিফ মনে করেন বাবর আজমের অধিনায়কত্বে ফিরে আসা একটি উল্লেখযোগ্য ত্রুটি ছিল।
তিনি বলেন, ‘ দেখুন ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর যা হয়েছিল তা হওয়া উচিত হয়নি। এটা তাঁদের নিজস্ব চিন্তা যে তাঁরা বাবরকে সরিয়ে দিয়েছে এবং শাহীন এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু তারপর আবারও আপনি বাবরকে অধিনায়ক করেন, যিনি অধিনায়ক হিসেবে দূর্বল। কারণ যে নেতৃত্ব দিতে আসে তাঁর উচিত আত্নবিশ্বাসের সাথে নেতৃত্ব দেওয়া। আমার মনে হয় বাবর আজমের এটি সব থেকে বড় ভুল ছিল আবার নেতৃত্ব মেনে নেওয়া। তিনি যদি অধিনায়ক হিসেবে বহাল থাকেন, তা হবে তাঁর আরও বড় ভুল। পাকিস্তান অনেক বছর পর এমন একজন দুর্দান্ত ব্যাটার খুজে পেয়েছে যিনি বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য বিস্তার করছেন; তাঁর এই রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়।’
বাবর ও রিজওয়ানের ব্যাটিং নিয়েও কথা বলেন সাবেক পাকিস্তানি এই অধিনায়ক। ভারতের রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির রুপান্তরকে অনুসরণ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের ব্যাটিং পদ্ধতির পরিবর্তন করার জন্য বাবর-রিজওয়ানকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।
এই সম্পর্কে লতিফ বলেন, ‘ আমি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির উদাহরণ দিব যে তাঁরা কিভাবে নিজেদের বদলেছে। রোহিত নিজেকে ১৯০ ডিগ্রি পরিবর্তন করেছেন। যার ফলে তিনি একজন আদর্শ হয়ে উঠেছেন। আগে তাঁর আইপিএলে স্ট্রাইক রেট ১৩০-১৪০ ছিল, যা এ বছর ১৬০-এ গিয়ে ঠেকেছে। বিরাট কোহলিও তাই করলেন। এই দুই ব্যাটসম্যান যদি পরিবর্তন করতে পারে, তাহলে যে কেউ পারবে। আমি বাবর ও রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টিতে তাঁদের ব্যাটিং পরিবর্তন করার জন্য ৫টি ম্যাচ দেব। এবং যদি তাঁরা তা করতে ব্যর্থ হয় তবে তাঁদের জন্য দলে কোনও জায়গা থাকা উচিত নয়।’