টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারার পরে হয়ত অনেক বড় বড় বাজিকরও পাকিস্তানের সেমিফাইনালে খেলার পক্ষে বাজি ধরতে রাজি হননি। কিন্তু সেই সব সমীকরণকে উল্টে দিয়েই এখন সেমিফাইনালে পাকিস্তান। যার কিছুটা ধন্যবাদ পাকিস্তানিরা নেদারল্যান্ডসকে দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা হারানোর জন্য। বাংলাদেশেরও পাকিস্তানের তরফ থেকে ধন্যবাদ প্রাপ্য তাদের ম্যাড়মেড়ে ব্যাটিং পারফরম্যান্সের জন্য।
কিন্তু, সেমিফাইনালে উঠেও স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। বিশেষ করে দলের মূল ভরসা বাবর আজম আছেন নিজের ছায়া হয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পরে টুইটারে অনেকটা রাগান্বিত সুরেই পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তান দলের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজমকে কঠিন ভাষায় বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আরও দৃঢ়চেতা হতে বলেছেন।
২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় আফ্রিদি ম্যাচ পরবর্তী এক টুইটে বাবর আজমকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘তোমাকে একই সাথে আরও দৃঢ়চেতা এবং নমনীয় উভয়ই হতে হবে। দৃঢ়চেতা হতে হবে বিশ্বকাপ জেতার জন্য। আবার নমনীয়ও হতে হবে,পাকিস্তানের ভালোর জন্য!’
পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক সমালোচনা করেছেন বর্তমান অধিনায়কের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচের। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের টপ অর্ডারে আরও বেশি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার খেলোয়াড় লাগবে হারিস, শাদাবদের মত।’
আফ্রিদির পরামর্শ হল, হারিসকে রিজওয়ানের সাথে ওপেনিংয়ে নামিয়ে বাবরকে তিন নম্বরে নামানো হোক। এক্ষেত্রে তিনি বাবরকে পাকিস্তানের জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়চেতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাটিং লাইন আপের জন্য নমনীয় হতে বলেন।
তিনি আরও একটি টুইটে পাকিস্তানের পেস বোলারদের প্রশংসায় ভাসান, বিশেষত শাহীন শাহ আফ্রিদির বোলিং সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন তোমাকে। হারিসকে এই দলে দেখে খুবই খুশি লাগছে। আর আজকের বোলিং এ পর্যন্ত সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। এভাবেই সামনে চালিয়ে যাও!’
পাকিস্তান অ্যাডিলেড ওভালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় লাভ করে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তানিরা। নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল। বল হাতে চার উইকেট নিয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের ফলে ম্যাচ সেরা হন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
পাকিস্তান আগামী নয় নভেম্বর প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। সেই নিউজিল্যান্ড এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল। ফলে, পাকিস্তানের স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই।