পছন্দের ওয়ানডে ভুলতে বসেছে বাংলাদেশ!

বাংলাদেশের সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট এই ওয়ানডেটাই। তবে এখানেও যে হারের ক্ষতটা বৃহদাকার ধারণ করছে! সেই সাথে ভারি হচ্ছে অধিনায়ক মিরাজের হারের খাতা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলেছে আট ম্যাচ, জয় পেয়েছে কেবল একটিতে।

ব্যাটিং সমস্যার সমাধান যেন মিলানো দায়। টপ অর্ডার একেবারেই ব্যর্থ, মিডল অর্ডারে রান পেলেও স্ট্রাইক রোটেশনেও ঢের পিছিয়ে, সেই সাথে বোলিংয়েও যে ফাঁকফোকর থেকেই যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ যেন পছন্দের ফরম্যাটে দুঃসহনীয় সময় পার করছে, যার ফলস্বরূপ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেটের হার।

এদিন শুরুতে টসে জিতেছিল বাংলাদেশ, মিরাজ সিদ্ধান্ত নিলেন টার্গেট ছুড়ে দেওয়ার। তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা আবারও ডোবাল। তানজিদ তামিম কিংবা নাজমুল শান্তরা হতাশ করলেন। অভিষেক ম্যাচে ভালো শুরু করেও ২৬ রানেই থামতে হলো সাইফ হাসানকে। ৫৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদের সীমানায় দাঁড়িয়ে তখন বাংলাদেশ।

আলোর মশাল হাতে এগিয়ে এলেন তাওহীদ হৃদয় এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০১ রানের জুটিতে একটা লড়াই করার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে হঠকারী সিদ্ধান্তে রান আউটে কাটা পড়লেন হৃদয়, থামলেন ৫৬ রানেই। মিরাজও ৬০ রান করে হাঁটা দিলেন সাজঘরের পথে।

এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল উইকেট। একের পর এক ব্যাটারদের সাজঘরের আসা-যাওয়ার ব্যস্ততায় বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তুলল ২২১ রান।

বিপরীতে বল হাতে যেমন শুরুর দরকার ছিল, সেটাতে ব্যর্থ হলেন তাসকিন-হাসানরা। আফগান ব্যাটাররা হিসেব কষেই চালিয়ে গেল খেলা। রাহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং রহমত শাহর ফিফটি বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেছিল আগেই। তানভির-সাকিবদের বোলিংয়ে যতটুকু সম্ভাবনা জেগেছিল, তাতেও কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকে দিলেন ওমরজাই—খেললেন ৪০ রানের ম্যাচ জেতানো নক।

বাংলাদেশের সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট এই ওয়ানডেটাই। তবে এখানেও যে হারের ক্ষতটা বৃহদাকার ধারণ করছে! সেই সাথে ভারি হচ্ছে অধিনায়ক মিরাজের হারের খাতা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলেছে আট ম্যাচ, জয় পেয়েছে কেবল একটিতেই।

পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, এই ফরম্যাটে সঠিক পথে নেই বাংলাদেশ। আধুনিক ক্রিকেটের সাথে পাল্লা দেওয়া দূরে থাক, নিজেদের সক্ষমতার থেকেই দূরে সরে যাচ্ছে দল।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link