পাকিস্তান মানেই পেস বোলারদের আঁতুর ঘর। যুগে যুগে পাকিস্তান থেকেই উঠে এসেছে বিখ্যাত সব বিধ্বংসী বোলার। পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে সেই কাপুনি ধরানো বোলিংয়ের মুখোমুখী হতে হবে বাংলাদেশী ব্যাটারদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই দীর্ঘ ফরম্যাটে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারবে বাংলার টাইগাররা, সেই প্রশ্ন রয়েই যায়।
বাংলাদেশ শেষবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সাদা পোশাকে নেমেছিল ২০২১ সালে। সেসময় ঘরের মাঠে দুই টেস্টেই পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছিল সাকিব আল হাসানদের। যদিও এবার পরীক্ষা তুলনামূলক কঠিন হতে চলেছে। কেননা, এবারের টেস্ট হবে পাকিস্তানের মাটিতেই।
ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস থেকে শুরু করে শোয়েব আখতার কিংবা হালের জনপ্রিয় পেস সেনসেশন শাহীন শাহ আফ্রিদি সবাই পাকিস্তানেরই প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আর এবারের যাত্রায় পাকিস্তানের মাটিতেই নাসিম শাহ, হারিস রউফদের বিপক্ষে অভেদ্য প্রাচীর গড়ে তুলতে হবে বাংলার ব্যাটারদের। সেজন্যে অবশ্য টাইগারদের দিতে হবে ধৈর্য্যের পরীক্ষা। ২২ গজে থিতু হতে হবে বেশ অনেকটা সময় নিয়ে।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ পা দিয়েছে দুই যুগ আগে। অবশ্য সাদা পোশাকে টাইগারদের সাফল্য বলতে তা খুবই নগন্য। লাল বলের এই ক্রিকেটে যে এখনো অভিজ্ঞতার তকমা নিজেদের করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এ যাবতকালে ১৪১ টেস্টে বাংলাদেশ জয়ের স্বাদ পেয়েছে মাত্র ১৯ টিতে, পরাজয়ের সংখ্যা পূরণ করেছে শতকের ঘর, আর ড্র রয়েছে ১৮ টি টেস্টে। নিয়মিত না খেলাই যে পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের টেস্ট ফরম্যাটের প্রতি অনীহাও এজন্যে দায়ী।
অবশ্য বরাবরই বাংলাদেশের টেস্টের অন্যতম দুর্বলতা বোলিং। আরো স্পষ্ট করে বললে, সেটা হবে পেস বোলিং। অর্থাৎ দেশের বোলিং ইউনিটের চিত্রটা পাকিস্তানের বোলিংয়ের বিপরীত। তবে আশার বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে বোলিং ইউনিট নিয়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র হতে পারে তাঁদের স্পিন বোলিং ইউনিট। তাঁরা ভরসা করতে পারেন রিশাদ-তাইজুলদের উপর।
তবে গ্রিন আর্মিদের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের রয়েছে প্রত্যাশার প্রদীপ জ্বালানো ব্যাটিং লাইন আপও। নাজমুল হোসেন শান্ত-মুমিনুল হকরা ঘরের মাটিতে সাফল্যের স্পর্শ পেলেও বিদেশের মাটিতে কতখানি সফল হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। বোঝাই যাচ্ছে, পাকিস্তানের তুখোর বোলিংয়ের সামনে বেশ কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে বাংলার ব্যাটারদের সামনে।