নামের পাশে জুনিয়র টাইগার তকমা। তবে ব্যাট হাতে ক্রিজে থাকা আরিফুল যেন পরিণত, ক্ষুধার্ত এক বাঘের নাম। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এ ব্যাটার। আর তাতেই যুব বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে ওঠার পথে এগিয়ে গিয়েছে টাইগার যুবারা।
ব্লুমফন্টেইনে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় তারা। ব্যাট হাতে এ দিন ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস হাঁকিয়েছেন আরিফুল ইসলাম।
এ নিয়ে যুব বিশ্বকাপের মঞ্চে তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এ ব্যাটার। যা এখন যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। আরিফুলের আগে সর্বোচ্চ ৩ টা সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ভারতের শিখর ধাওয়ান আর ইংল্যান্ডের জ্যাক বার্নহামের।
তবে পঞ্চাশ ওভার শেষে বাংলাদেশের দলীয় রান যতটা ভদ্রস্থ লাগছে, শুরুর চিত্রটা ঠিক ততটাও রঙিন ছিল না। বরং বাজে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। দলীয় ১০০ রানের আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তাঁরা। তবে সেখান থেকে দলকে উত্তরণের পথ খুঁজে দেন আরিফুল।
শুরুতে কেউ তাঁকে সঙ্গ দিতে না পারলেও আহরার আমিনের সাথে দারুণ জুটিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। দুজনের ১২২ রানের জুটিই বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয়। আহরার ফেরেন ৪৯ বলে ৪৪ রান করে। তবে ফিফটি পেরিয়ে ঠিকই শতক ছুঁয়ে ফেলেন আরিফুল। বাংলাদেশ তখন ড্রাইভিং সিটে।
১০৩ বলে ৯ চারে ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন আরিফুল। আরিফুলের ওই শতকেই ম্যাচের মোমেন্টাম পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। শেষ দিকে লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে মোহাম্মদ শিহাব জেমস খেলেন ১৭ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস। আর এতেই ৩০০ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
২ বছর আগে হওয়া সর্বশেষ যুব বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন আরিফুল ইসলাম। সে বার দুটো সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। কিন্তু দলের বড় সাফল্যের সেটি তেমন কাজে দেয়নি। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে থেমে গিয়েছিল বাংলাদেশর যাত্রা।
এবার নিশ্চয়ই বড় কিছু স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যেই চোখ রেখেছেন আরিফুল। আগের আসরে যদিও তাঁর শতক বিফলে গিয়েছিল। সেই পুনরাবৃত্তি নিশ্চয়ই এবার আর চাইবেন না তরুণ এ ব্যাটার। আরিফুলের মতো তারুণ্যে উদ্দামে ভরপুর তরুণদের তো বিশ্বজয়েই চোখ রাখা উচিৎ।