তাঁর হাত ধরেই বিশ্ব ক্রিকেটে মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের প্রধান কোচ হিসেবে ডেভ হোয়াটমোরের অধ্যায়টা শেষ হয়েছে তা প্রায় সময়ের ব্যবধানে ১৭ বছর গড়িয়েছে। তবে অজি এ কোচ এরপর বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন বেশ ক’বার। আর যখনই আসেন, তখন এক ধরনের নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। এমন কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
এবার বিপিএলের মঞ্চে ফরচুন বরিশালের টেকনিকাল ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যার কারণে আবারো বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখা সাবেক এ কোচের। এই সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে গেছে অনেকখানি। সেটা নিজেও মানছেন এ কোচ। ক্রিকেট ভিত্তিক গণমাধ্যম ক্রিকবাজের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন ডেভ হোয়াটমোর।
টাইগারদের সাবেক গুরু বলেন, ‘বাংলাদেশে আসা বারবারই আমাকে রোমাঞ্চিত করে। এখানে আমার স্মৃতি আছে। বহু চেনা মুখ আমাকে আবেগাপ্লুত করে৷ তবে ভাল লাগে, আমি যেখানে রেখে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে বাংলাদেশ দারুণ এগিয়েছে। এটা তাদের বোর্ড, গেম ডেভেলপমেন্টের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ফসল।’
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সফরে তরুণ এক দল নিয়ে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ। তরুণদের এভাবে জেগে ওঠা চোখ এড়ায়নি ডেভেরও। তিনি বলেন, ‘ভিন্ন কন্ডিশন মানে ভিন্ন খাদ্যাভাস, ভিন্ন আবহাওয়া। এর মাঝে সব প্রতিকূলতা ঠেলে কিন্তু ম্যাশ জেতা চাট্টিখানি কথা নয়। নিউজিল্যান্ডে আগের সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সই বলে দেয়, জেতার জন্য কতটা আত্নবিশ্বাসী ছিল তাঁরা।’
ডেভ হোয়াটমোরের হাত ধরেই উঠে এসেছিলেন মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকদের মতো ক্রিকেটার। তরুণদের সুযোগ দিলেই যে এমন একেকটা সাকিব-তামিম তৈরি হবে, এমন মন্তব্য করে অজি এ কোচ বলেন, ‘একটা সময় প্রতিবন্ধকতা ছিল। তবে তরুণদের সুযোগ দিলেই তাঁরা উঠে আসবে। এই প্রক্রিয়া সব সময় চলমান থাকা উচিৎ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেউই তো আজীবন থাকবে না। তাই ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হবে।’
এরপর বিপিএল নিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন টুর্নামেন্টে প্রচুর দর্শক থাকে। ড্রেসিং রুমে বিদেশি ক্রিকেটার থাকে। ইয়াং স্টারদের জন্য তাই এমন একটা টুর্নামেন্ট আশীর্বাদ। তাঁরা এই ধরনের লিগ খেলেই পরিপক্ক হবে। একই সাথে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য আদর্শ প্রস্তুতিও হয় এই টুর্নামেন্ট গুলোর মাধ্যমে।’