ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে যতটা হাই ভোল্টেজ ভাবা হয়, সেটা কি আসলেই ততটা হাই ভোল্টেজ? ২০২২ বিশ্বকাপে একটা ম্যাচ ছাড়া শেষ কবে এই দুই দলের লড়াইয়ে টানটান উত্তেজনা ছিল? দুই দলের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ তো দেখাই যায়, বছরে এক দুইবার আইসিসির ইভেন্টে দেখা হলেও ম্যাচগুলো হয় বড্ড একপেশে।
অথচ এর ঠিক উল্টো বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথ। দুই একটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে, গত প্রায় এক দশকে যেকোনো পর্যায়েই ভারতীয় দলের বিপক্ষে টাইগারদের ম্যাচ রোমাঞ্চ ছড়ায়।
- জাতীয় দল:
২০১৫ বিশ্বকাপের সেই বিতর্কিত ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ অন্য মাত্রা পেয়েছে। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ১ রানে হার, ২০১৮ নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে দিনেশ কার্তিকের ছয়।
এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কষ্টার্জিত জয়, ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলিদের পাঁচ রানে জয়, একই বছর সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে মিরাজ ম্যাজিক – প্রতিবারই ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ বল পর্যন্ত।
এছাড়া মিরপুর টেস্টেও ভারতের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে টিম বাংলাদেশ। অধিকাংশ সময় স্নায়ু ধরে রেখে ভারতই হয়তো জিতেছে, কিন্তু উত্তেজনার কোন কমতি ছিল না কখনোই।
- নারী দল:
শুধু জাতীয় দলই নয়, ভারতের নারী দলের বিপক্ষেও বাংলাদেশ টক্কর দিয়েছে সমানে সমানে। ২০১৮ এশিয়া কাপ ফাইনালের শেষ বলে দুই রান নিয়ে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল। এছাড়া ভারতের আলোচিত বাংলাদেশ সফরে একাধিক বারই রোমাঞ্চকর ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯৬ রান করেও জ্যোতিদের আটকে দিয়েছিল ভারত, প্রথম ওয়ানডেতে আবার ১৫২ রানের টার্গেট দিয়েই সফরকারীদের হারিয়ে দিয়েছিল টাইগ্রেসরা। আর সর্বশেষ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তো জয়ী দলই পাওয়া যায়নি, দুই প্রতিবেশী দলের লড়াই শেষ হয়েছে নাটকীয় এক সমতার মাঝ দিয়ে।
- যুব পর্যায়:
যুব পর্যায়েও ভারতের সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই উপভোগ্য কিছু। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের দেয়া ১০৭ রানের টার্গেট টপকে যেতে পারেননি বাংলাদেশী তরুণরা, হেরেছিল পাঁচ উইকেটে। বিশ্ব মঞ্চে সেটার প্রতিশোধ নিয়েছে আকবর বাহিনী। ৮৫ রানে পাঁচ উইকেট পড়ার পরেও টেলএন্ডারদের নিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন আকবর দ্য গ্রেট।
সব মিলিয়ে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই তাই জিভে জল আসার অনুভূতি; তাই তো এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে ভক্ত-সমর্থকেরা।