এভাবে খেলেও নাকি সেমিতে ওঠার চেষ্টা ছিল বাংলাদেশের!

সুপার এইটের শেষ ম্যাচটি সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল তিন দলের জন্যই। তবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে জয় নিয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের মঞ্চে  প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে পৌছালো আফগান দল । ম্যাচ শেষে অধিনায়ক রশিদ খানের মুখে শোনা গেলো তাঁদের বিশ্বাস ও আনন্দের কথা।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বাড়ির লোকজনকে খুশি করতে চেয়েছিলাম। আজকে এটাই আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল। বাড়িতে ফিরে আমরা এটি উদযাপন করব। এমন অনূভুতি বর্ণনা করার মতো শব্দ আমার কাছে নেই।’

সেমিফাইনালে যাওয়ার বিশ্বাসের কথায় রশিদ খান বলেন, ‘সেমিফাইনালে উঠা আমাদের জন্য স্বপ্ন। টুর্নামেন্টের শুরুতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আমাদের নিজেদের উপর বিশ্বাস এসেছিল। একমাত্র ব্রায়ান লারা বিশ্বাস করেছিলেন আমরা সেমিফাইনালে পৌছাবো এবং আমরা তাঁকে সঠিক প্রমাণ করেছি। যখন একটি অনুষ্ঠানে আমরা তাঁর সাথে দেখা করি, আমি তাকে বলেছিলাম যে আমরা আপনাকে হতাশ করব না।’


মাত্র ১১৫ রান করার পরও নিজেদের উপর ভরসা ছিল রশিদ খানের। ম্যাচের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ১৩০-১৩৫ একটি ভাল স্কোর কিন্তু আমরা ১৫ রান কম করেছিলাম৷ তবে আমরা জানতাম যে তাঁরা আক্রমণাত্মক খেলবে এবং আমরা এর সুবিধা নিতে পারব। আমাদের অতিরিক্ত কিছু করার প্রয়োজন ছিল না। আমাদের পরিকল্পনা পরিষ্কার ছিল। আমরা জানতাম জিততে হলে আমাদের ১০ উইকেট নিতে হবে।’

ম্যাচটি ১২.১ ওভারে জিতে সেমিফাইনাল যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশেরও। তবে অধিনায়ক শান্তর মুখে শোনা গেলো ভিন্ন কথা। তাড়াতাড়ি উইকেট হারালে সেমিফাইনালের ভাবনা ছেড়ে শুধুই ম্যাচ জেতার চিন্তা ছিল তাঁদের।

ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সত্যিই ভাল বোলিং করেছি। তবে ব্যাটিং উইনিট হিসেবে আমরা কিছু খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশেষ করে মধ্য ওভারগুলোতে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রথম তিন উইকেট পর্যন্ত আমরা আক্রমণাত্মক খেলব। তবে উইকেট হারালে আমরা স্বাভাবিকভাবে খেলব। কিন্তু আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link