একাধিক দেশ একত্রে বিশ্বকাপ আয়োজন করা মানেই ভ্রমণের বাড়তি ঝামেলা, আর সেই ঝামেলায় সবচেয়ে বেশি পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বলছি ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা, বিশ দলের এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে। গ্রুপ পর্বের সূচি অনুযায়ী, ৯৯২১ কিলোমিটার ভ্রমণ করবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
অথচ সবচেয়ে কম ভ্রমণ করতে হবে ইংল্যান্ডকে, চার ম্যাচ খেলার জন্য তাঁদের স্রেফ ৫০৫ কিলোমিটার ঘুরতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে ২০ গুণ কম ঝামেলা পোহাবে তাঁরা।
বাকি দলগুলোর মাঝে শ্রীলঙ্কা আট হাজার কিমি পথ ভ্রমণ করবে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে। ইতোমধ্যে এমন ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেছেন দলটির ক্রিকেটাররা।
নেদারল্যান্ডস আছে তালিকার তিন নম্বরে, এরপর যথাক্রমে নেপাল এবং স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের নাম। এছাড়া নয় নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অবস্থান তালিকার নিচের দিকে।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং পাকিস্তানের মাঝেও ব্যবধান চোখে পড়ার মত। একই গ্রুপে থাকা সত্ত্বেও বাবর আজমদের চার ম্যাচ খেলার জন্য প্রায় চার হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করবেন, অন্যদিকে ভারতের ক্ষেত্রে সেটা মাত্র ১৭১৭ কিমি।
আবার ম্যাচের ভেন্যু নিয়েও রয়েছে অভিযোগ; এই যেমন শ্রীলঙ্কা চার ম্যাচ খেলবে চারটি ভিন্ন ভিন্ন স্টেডিয়ামে; অন্যান্য দলগুলোকেও অন্তত তিনটি স্টেডিয়ামে খেলতে হবে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচগুলো। তবে ভারত এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, প্রস্তুতি ম্যাচ সহ তাঁদের প্রথম চারটি ম্যাচই নিউইয়র্কের নাসাউতে!
দুই দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন নিঃসন্দেহে ক্রিকেট জ্বর ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ভাল উদ্যোগ। কিন্তু এক্ষেত্রে বেড়ে যায় ক্রিকেটারদের ঝক্কি-ঝামেলা, আর সেই ঝামেলা যদি সবার মাঝে সমানভাবে ভাগ না হয় তাহলে আয়োজকদের দিকে আঙুল তুলতেই হয়।