অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জয়ের নায়ক হতে পারতেন আব্দুল গাফফার সাকলাইন এবং রিপন মণ্ডল। তবে সুপার ওভারে আর রক্ষা হলো না বাংলাদেশের। ব্যাটারদের ভরাডুবির পর টেলএন্ডারদের চেষ্টায় যেভাবে লড়াইয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ তা আর পূর্ণতা পেল না। শেষটাতে সুপার ওভার জিতে সেরার মুকুট উঠল পাকিস্তান শাহিনসের মাথায়। জেতার স্বপ্নটা অধরাই থাকল বাংলাদেশের।
পাকিস্তানের দেওয়া ১২৫ রানের সহজ লক্ষ্যটাকে কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে যখন কঠিন করে তুলল বাংলাদেশের ব্যাটাররা, তখনই মঞ্চে পাঁজর হয়ে এলেন আব্দুল গাফফার সাকলাইন এবং রিপন মণ্ডল। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ম্যাচটাকে মন্ত্রবলে ফিরিয়ে নিয়ে এলেন, লজ্জায় ফেললেন ওপর সারিতে ব্যাট করা নামধারী ব্যাটারদের।
দুই ওভারে বাংলাদেশের জন্য সমীকরণটা ছিল ২৭ রানের। নয় উইকেট হারিয়ে ফেলার পর জয়ের বিন্দুমাত্র আশা তখন বেঁচে নেই। তবে বিশ্বাস পুঁজি করে লড়লেন রিপন আর সাকলাইন মিলে। ১৯তম ওভারে শাহিদ আজিজকে টার্গেট করলেন, দুজনে মিলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে তুলে নিলেন ২০ রান। সেই সাথে আরও একবার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায় বাংলাদেশের সামনে।

শেষ ওভারে সাত রানের সমীকরণ। দুই ব্যাটার নিজেদের সবটা দিয়ে লড়লেন। শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াইয়ে শেষমেশ ফলাফলে এসে হিসাব দাঁড়াল এক বলে দুই রানের। ব্যাটে বলে ঠিকঠাক না হলেও সিঙ্গেল নিতে ভুল করলেন না সাকলাইন। ফলাফল, আরও এক সুপার ওভার।
তবে সুপার ওভারটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। সোহানের সাথে নামা সাকলাইন ফিরে গেলেন শূন্যতেই। শেষমেশ বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ছয় রান। অবশ্য বোলার আহমেদ দানিয়াল এক অর্থে পাঁচ রানই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশকে।
পাকিস্তানের জন্য লক্ষ্যটা দাঁড়ায় সাত রানের। বল তুলে দেওয়া হয় সেই রিপন মণ্ডলের হাতে। সেমিফাইনালে ভারত-বধের নায়ক ছিলেন তিনিই, এবার পাকিস্তানকে হারানোর সুযোগ আসে। তবে এ যাত্রায় আর বাঁচাতে পারলেন না তিনি। সুপার ওভার জিতে নিয়ে ফাইনালটা নিজেদের করে নিল পাকিস্তান শাহিনস।

Share via:











