দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আর এর আগেই ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে পড়েছে বাংলাদেশ দল। সমস্যাটা সব জায়গায় ছিল, এর মাঝে কিছুটা স্বস্তিতে রেখেছিল টপ অর্ডার ব্যাটাররা। তবে সময় যত গড়াচ্ছে এখানেই যেন দুশ্চিন্তাটা একটু বেশিই বাড়ছে।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল, আরও ছোট করে বললে মিরপুরে। বড় মঞ্চে প্রবেশের আগে মিরপুরে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস সংগ্রহ করেন ক্রিকেটাররা। তবে এবার সেই ধারায় কিছুটা বদল এসেছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটা বাংলাদেশ সারছে চট্টগ্রামের ফ্ল্যাট উইকেটে।
বিপত্তিটা বোধহয় এখানেই। নামে ভারে এগিয়ে থাকলেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে লিটনরা কোথাও নিজেদের প্রমাণ দিতে পারেনি, বরং বাড়িয়েছে দুশ্চিন্তায়।

টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ফিরে গেছেন পাঁচ রান তুলতে না তুলতেই। বিশ্বকাপের আগে এমন দশা নেহাৎ ভয় জাগাচ্ছে দলটা নিয়ে। তবে এক ম্যাচে এমনটা তো হতেই পারে। দুশ্চিন্তাটা সেখানেই, এক ম্যাচ নয় টানা চার ম্যাচেই টপ অর্ডারটা ঠিকঠাক ডেলিভার করতে পারেনি। বিশেষ করে ওপেনিং থেকে আসছে না বড় স্কোর। ফলাফলস্বরূপ শেষ চার ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ।
একটু পরিসংখ্যানের পাতায় চোখ রাখা যাক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাইফ হাসান এবং তানজিদ তামিম ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন। এই জুটি থেকে রান আসে মাত্র ১৬, দ্বিতীয় ম্যাচেও একই দশা, এবারের সংখ্যাটা ১৩।
পরের ম্যাচে ওপেনিংয়ে বদল আনা হলেও বদলায়নি ফলাফল। তামিমের সাথে ইমন ফিরে আসেন, তবে রান তুলতে পেরেছেন মোটে ২২। আর সর্বশেষ আইরিশদের বিপক্ষে তো টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারই ফিরেছেন পাঁচ রানে।

মিডল অর্ডার সমস্যার কুলকিনারা পাচ্ছে না ম্যানেজমেন্ট, এবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এলো টপ অর্ডারও। শুরুতে রান না আসলে বড় মঞ্চে বেগ পোহাতে হবে লিটনদের। বিশ্বকাপে ভালো করতে গেলে সবখানেই যে ভালো হওয়া চায়। তবে বাংলাদেশের অবস্থাটা এমন, সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা?











