২০২০ সালের পর এবার প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির বিদায়ের পর গত তিন মৌসুমেই সেরা আটে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিল দলটি।
তবে, এবার পুরনো ব্যর্থতা ভুলে সাফল্যের গান গাইতে শুরু করেছে তাঁরা। এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, এবারের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সার আধিপত্য কতটুকু তাহলে কেমন লাগবে?
আপনি হয়তো শুনলেই এই প্রশ্নের যৌক্তিকতা নিয়ে উল্টো প্রশ্ন করবেন। তবে কোয়ার্টারে জায়গা করে নেয়া দলগুলোর ডাগআউটে নজর দিলেই প্রশ্নের যৌক্তিকতা আর উত্তর দুটোই খুঁজে পাওয়া যাবে। সেরা আট দলের মাঝে চার দলের কোচই স্প্যানিশ এবং তাঁদের ফুটবল ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ জুড়ে রয়েছে বার্সেলোনার উপস্থিতি।
কাতালান জায়ান্টদের কোচ হিসেবে আছেন জাভি হার্নান্দেজ। খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ছিলেন এই দলের মধ্যমণি। ইনিয়েস্তা, বুসকেটসকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ড। পরবর্তীতে আবার কোচ হিসেবে প্রিয় বার্সার দায়িত্ব নেন এই তারকা।
ম্যানচেস্টার সিটির বস পেপ গার্দিওলাকে আলাদাভাবে পরিচয় করানোর অবশ্য কিছু নেই। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা মাস্টারমাইন্ড ভাবা হয় যাকে, তাঁর শুরুটা হয়েছিল বার্সেলোনার বয়সভিত্তিক দল থেকেই।
এরপর মূল দলের কোচ হিসেবে গড়েছেন একের পর এক ইতিহাস, ভেঙেছেন কত শত রেকর্ড। আবার ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ভূমিকাতেও বার্সার নাম উজ্জ্বল করার লড়াই করেছিলেন তিনি।
এছাড়া আর্সেনাল এবং পিএসজিতে কোচ হিসেবে রয়েছেন যথাক্রমে মিকেল আর্তেতা এবং লুইস এনরিকে। তাঁদের নামের সাথেও জড়িয়ে আছে বার্সেলোনার নাম।
আর্তেতার ফুটবল জীবনের শুরুটা হয়েছিল ব্লাউগানা জার্সিতেই অন্যদিকে, এনরিকে কোচ এবং খেলোয়াড় দুই পরিচয়েই মুগ্ধ করেছেন কিউলদের। কোচ হয়ে বার্সাকে নয়টি ট্রফি জিতিয়েছিলেন তিনি, আবার খেলোয়াড় হিসেবেও দলটার সঙ্গে শিরোপা উদযাপন করেছিলেন।
এই চারজন কোচের প্রত্যেকেই আবার কোন না কোন সময় খেলেছেন স্পেন জাতীয় দলের হয়ে। অর্থাৎ তাঁদের মাঝে রয়েছে স্প্যানিশ ধাঁচের ফুটবল। নিজেদের কর্মক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এটার ব্যবহার করেন নিশ্চয়ই।
ফলে, বলাই যায় – শেষ অবধি, এই চার জনের কেউ যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা জিতেই যান – তাহলে কার্যত বিজয় স্পেন বা বার্সেলোনারই হবে!