ফ্লিকের লাল কার্ডের দিনে বার্সার হোঁচট

অন্য অনেকদিনের মত রবার্ট লেওয়ানডস্কি এদিনও জালের দেখা পেয়েছেন। প্রথমার্ধের শেষভাগে দুর্দান্ত টিমওয়ার্কের সুবাদে মৌসুমে ব্যক্তিগত ১৬তম গোল পেয়ে যান তিনি। যদিও শেষপর্যন্ত সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি, দিন শেষে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। এর ফলে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে আবারো পয়েন্টের ব্যবধান কমে গেলো তাঁদের।

লামিন ইয়ামালের পাস দেখার পর আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন? অধিকাংশ দর্শক অবশ্য বিস্ময়ে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন; নিজের ভিশন কাজে লাগিয়ে তিনি একটা পাসেই রিয়াল বেতিসের রক্ষণ দূর্গ ভেঙ্গে দিয়েছেন।

তাঁর সেই পাস থেকে গোল করে দলকে দ্বিতীয়বারের মত এগিয়ে দেন ফেরান তোরেস। সেই সাথে চলতি মৌসুমে ইয়ামালের অ্যাসিস্ট সংখ্যা পা রেখেছে দুই অঙ্কের ঘরে। কিন্তু নাটকীয়তার তখনো বাকি ছিল, বদলি হিসেবে নামা আইটর রুবেলের নিখুঁত ক্রসে পা ছুঁইয়ে গোল করেন আরেক বদলি আসসানে দিয়াও। ঘড়ির কাঁটা তখন নব্বই মিনিটের ঘর পেরিয়ে গিয়েছিল!

এর আগে ম্যাচের ৬৫ মিনিটের সময় বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ভিটর রকি, বাধ্য হয়ে ট্যাকেল করেছিলেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। ভারে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত আসলে স্নায়ুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান হ্যান্সি ফ্লিক, অসদাচরণের দায়ে লাল কার্ড জোটে তাঁর কপালে।

এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনাও হোঁচট খেয়েছিল সেই পেনাল্টির সুবাদে, জিওভানি লো সেলসো আত্মবিশ্বাসী শটে পরাস্ত করেন ইনাকি পেনাকে। ঘরের মাঠে দাপট দেখানোর পুরুস্কার হিসেবে সমতায় ফিরতে সক্ষম হয় রিয়াল বেতিস।

বিরতির পর থেকেই আসলে দলটা ভিন্ন মূর্তি নিয়ে হাজির হয়েছিল; একের পর এক আক্রমণে ব্যতিবস্ত করেছিল বার্সার রক্ষনভাগকে। স্রেফ ইনাকি পেনার দৃঢ়তার সুবাদে ম্যাচে টিকে থাকা কাতালান জায়ান্টরা। পুরো ম্যাচে গোলের অন্তত তিনটা সুবর্ণ সুযোগ আটকে দিয়েছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না।

অন্য অনেকদিনের মত রবার্ট লেওয়ানডস্কি এদিনও জালের দেখা পেয়েছেন। প্রথমার্ধের শেষভাগে দুর্দান্ত টিমওয়ার্কের সুবাদে মৌসুমে ব্যক্তিগত ১৬তম গোল পেয়ে যান তিনি। যদিও শেষপর্যন্ত সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি, দিন শেষে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। এর ফলে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে আবারো পয়েন্টের ব্যবধান কমে গেলো তাঁদের।

Share via
Copy link