সুপার সাবস্টিটিউট ফেরান তোরেস

২০২০ সালের পর এই প্রথম ইউরোপীয় টুর্নামেন্টে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতলো বার্সেলোনা। এছাড়া গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে রাফিনহা সবমিলিয়ে বারোটা গোলে অবদান রেখেছেন, চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর চেয়ে বেশি গোলে অবদান রাখতে পারেনি কেউই! বার্সেলোনা কিংবা রাফিনহা - দু'পক্ষের দৌড় চলতে থাকুক আরো অনেকদিন৷

সিগন্যাল ইদুনা পার্কে যখন বার্সেলোনা ফেরান তোরেসকে মাঠে নামিয়েছিল তখনো কিছু আঁচ করা যায়নি। কিন্তু মাঠে নেমেই তোরেস যা করলেন সেটা অবিশ্বাস্য, প্রায় একা ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিয়েছেন তিনি। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে বার্সেলোনার জয়ের সবচেয়ে বড় কারণ তাঁকেই বলা উচিত আসলে।

বলা হবে না কেন, সেরহৌ গুইরাসি তো একটুও স্বস্তি দেন ব্লাউগ্রানা জার্সিধারীদের। ম্যাচের ৬০ মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। এতটুকুই শেষ না, খানিক বিরতি দিয়ে আরো একবার স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন তিনি – তাঁরা জোড়া গোলে ভর করেই পরপর দুইবার সমতা খুঁজে পায় বার্সা।

যদিও দিন শেষে তাতে লাভ হয়নি, স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের তান্ডবে ঠিকই জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। সূচনা হয়েছিল ৭৫ মিনিটের মাথায়, বদলি হিসেবে মাঠে নামার চার মিনিটের মধ্যেই!

ফারমিন লোপেজের শট বরুশিয়ার গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে রিবাউন্ডে গোল দেন এই তারকা। পজিশনিং সেন্সের উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত ছিল গোলটা। তবে তিনি সব লাইমলাইট পেয়েছেন একেবারে অন্তিম ভাগে। ২-২ গোলে ম্যাচ যখন শেষের দিকে তখন দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে জালের দেখা পান তিনি। শেষপর্যন্ত জয়সূচক গোল হয়েই রয়েছে সেটা! চলতি মৌসুমে এবারি প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর পায়ে গোল দেখলো ফুটবলপ্রেমীরা।

এদিন অবশ্য গোলের যাত্রা করেছিলেন রাফিনহা, দানি অলমো দারুণভাবে তাঁর মার্কারকে বোকা বানিয়ে পাস পাঠান রাফিনহার উদ্দেশ্যে। সেই বল নিয়ে তিনি ঢুকে পড়েন ডি বক্সে, অতঃপর গোল! তিনি কেমন ফর্মে আছেন সেটাই যেন প্রমাণ করলেন।

২০২০ সালের পর এই প্রথম ইউরোপীয় টুর্নামেন্টে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতলো বার্সেলোনা। এছাড়া গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে রাফিনহা সবমিলিয়ে বারোটা গোলে অবদান রেখেছেন, চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর চেয়ে বেশি গোলে অবদান রাখতে পারেনি কেউই! বার্সেলোনা কিংবা রাফিনহা – দু’পক্ষের দৌড় চলতে থাকুক আরো অনেকদিন৷

Share via
Copy link