দিন দুয়েক আগেই লামিন ইয়ামাল রেফারিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ যখন রেফারিদের শূলে চড়াতে ব্যস্ত সেখানে তিনি বিনা দ্বিধায় পক্ষ নিলেন রেফারিদের। সেটার রেশ কাটার আগেই এবার সিদ্ধান্ত এলো বার্সেলোনার দিকে, বার্সার বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা লাস পালমাস পেনাল্টি পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও পেলো না কাঙ্ক্ষিত পেনাল্টি।
অ্যালেক্স সুয়ারেজের শট এরিক গার্সিয়ার হাতে লেগে আটকে যাওয়ার পর উঠেছিল স্পট কিকের দাবি। তবে গার্সিয়ার হাত ইচ্ছেকৃতভাবে বলের লাইনে রাখা ছিল না এমনটা ধরে পেনাল্টি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আদ্রিয়ানো কোর্দেরো।
জয় পেতে তাই আর সমস্যা হয়নি বার্সার; এর আগে দানি অলমোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তাঁরা, এরপর তো রক্ষণভাগের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কল্যাণে এক গোলেই তিন পয়েন্ট প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। যদিও শেষ দিকে ফেরান তোরেস সব শঙ্কার অবসান ঘটিয়েছিলেন, বেশ টাইট অ্যাঙ্গেল থেকে শট নিয়েই প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
সবমিলিয়ে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্লাউগানা জার্সিধারীরা। আগের দেখায় এই লাস পালমাসের কাছেই হেরে লজ্জার সাগরে ডুবতে হয়েছিল তাঁদের। এবারের জয়টা তাই অলিখিত প্রতিশোধও বলা যায়, যদিও প্রতিশোধের জয়ে টেবিলে সবার উপরে থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বার্সেলোনার জন্য।
এমন দিনে হ্যান্সি ফ্লিকের ট্যাকটিক্সের প্রশংসা করতেই হয়, প্রথমার্ধে দল যখন প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভাঙ্গতেই পারছিলো না তখন তিনি বদলি হিসেবে মাঠে নামিয়েছিলেন দানি অলমোকে। যিনি কি না আক্রমণাত্মক ঘরানার নাম্বার টেন, ফলে ফাইনাল থার্ডে বাড়তি একজন অ্যাটাকার থাকার ফায়দা লুটতে পেরেছে তাঁর শিষ্যরা। এছাড়া আরেক গোলদাতা তোরেসও বদলি হিসেবে নেমেছিলেন।
অবশ্য জয় কিভাবে এসেছে সেটার চেয়ে বেশি প্রয়োজন জয়ের ধারা ধরে রাখা, অনেকটা পিছিয়ে পড়েও ভাগ্যের সহায়তায় শীর্ষে ফিরতে পেরেছে বার্সেলোনা। আরেকটা পা ফঁসকে গেলে সেই সুযোগ নাও মিলতে পারে।