দুবাই-মালদ্বীপ ঘুরে বিদেশিরা ফিরছেন আইপিএলে

থমকে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চাকা আবার সচল হয়েছে। মাঠে গড়াতে প্রস্তুত ২০২৫ আইপিএলের বাকি অংশ। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে যে সংকট ছিল তার অনেকটা দূর হলেও, বেশ কিছু অস্ট্রেলিয়ান তারকা এখনো ফিরতে নারাজ।

থমকে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চাকা আবার সচল হয়েছে। মাঠে গড়াতে প্রস্তুত ২০২৫ আইপিএলের বাকি অংশ। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে যে সংকট ছিল তার অনেকটা দূর হলেও, বেশ কিছু অস্ট্রেলিয়ান তারকা এখনো ফিরতে নারাজ।

এবারের আইপিএলে ১৬ জন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ছিলেন। তবে ইনজুরির কারণে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জস হ্যাজলউড আগেই চলে গিয়েছিলেন। সীমান্ত সংঘাত শেষে অস্ট্রেলিয়ানরা শুরুতেই জানিয়েছিল ফিরতে চায় না তারা। তবে এ সিদ্ধান্ত বদলেছেন অনেকেই।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড থেকেও মিলেছে ছাড়পত্র। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও টড গ্রিনবার্গ ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন— ‘আমরা আমাদের সব খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলছি। তারা সবাই তাদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমার ধারণা, অনেকেই ফিরে আসবে।’

১১ জুন শুরু হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই। তবে আইপিএল শেষে কতটুকু প্রস্তুতি নিতে পারবে অজিরা তা নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) জানিয়েছে, ‘যারা আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে চায়, তাদের জন্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক করা হবে।’

ইতিমধ্যে নিশ্চিতভাবে ফিরছেন প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেড। তাদের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আসর থেকে ছিটকে গেলেও গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ বাকি। এই ম্যাচগুলো খেলে তারা ফিরে যাবেন দেশে।

গুজরাট টাইটানসের সব বিদেশি খেলোয়াড়, যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ও জেরাল্ড কোয়েৎজে, পুরো লিগ পর্বে থাকছেন। যদিও তারা ফাইনাল পর্যন্ত থাকবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ইংল্যান্ডের তারকা জস বাটলারও ফিরছেন ডেরায়।

তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্য খারাপ খবর, ইনজুরির কারণে জস হ্যাজলউড আর ফিরছেন না—বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দলেরই একটি সূত্র। তবে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মিচেল স্টার্ককে নিয়ে। পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পর তাকে ১০ ঘণ্টা বাস ও ট্রেন ভ্রমণ করতে হয় ধর্মশালা থেকে দিল্লি। এটি নিয়ে মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত হয়েছেন তিনি। জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কও পুরোপুরি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং তার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।

চেন্নাই সুপার কিংস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিকাংশ বিদেশি খেলোয়াড়রা ফিরছেন নিশ্চিতভাবেই। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষ থেকেও আশাবাদী বার্তা এসেছে, তবে কৌশলগত কারণে মুম্বাই এখনই কিছু জানাতে চাইছে না।

বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড় বর্তমানে দুবাই, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১৭ মে থেকে আইপিএলে মাঠের লড়াই শুরুর আগে সবাই নিজস্ব শিবিরে ফেরত যাবেন।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link