বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন যদি হয় কোন শহর, তবে টক অব দ্য টাউন এখন চান্দিকা হাতুরুসিংহে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেশ কাটার আগেই তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে। মূলত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে, এরই ধারাবাহিকতায় এখন তাঁকে বাদ দেয়ার পায়তারা খোঁজা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছেন এই কোচ; তবে আপাতত থাকার ইচ্ছে নেই তাঁর। বিসিবি থেকে ছুটি নিয়েছেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। তাই বাংলাদেশ থেকে দ্রুতই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন তিনি।
যদিও ছুটির দৈর্ঘ্য বেশি নয়, সপ্তাহ খানেক। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় ফিরে আসার কথা এই লঙ্কানের। এরপরই শিষ্যদের নিয়ে ভারত সিরিজের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করবেন তিনি। কিন্তু আদৌ কি সেই সুযোগ দেয়া হবে তাঁকে? নাকি ভারত সিরিজের আগেই তাঁর হাতে বিদায়ের পত্র ধরিয়ে দেয়া হবে – এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে।
বিসিবির অভ্যন্তরীণ বাতাসে গুঞ্জন ভাসছে কঠিন কিছুর, হেড কোচের আসনের ওপর ভালভাবে চোখ রাখা হচ্ছে। এবং এই ব্যাপারে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয়ার পথে হাঁটছেন নীতি-নির্ধারকরা। তাই আশা করা যাচ্ছে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে তাঁর ভবিষ্যৎ কি হতে যাচ্ছে।
বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ নির্বাচক থাকাকালীন দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন হাতুরুর সঙ্গে। এছাড়া সদ্য সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একান্ত ইচ্ছের সুবাদে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছিলেন হাতুরু। সেজন্যই তাঁকে বাদ দেয়ার কথা ভাবছেন বিসিবির একাংশ। তবে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে, ক্রিকেট পরিস্থিতি বিবেচনায় মোটেই সুখকর হবে না বাংলাদেশের জন্য।
আপদকালীন কোচ দিয়ে কোনভাবেই ভারতের মত বড় দলের বিপক্ষে খেলা সম্ভব নয়। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য হাতে সময়ও বাকি নেই খুব একটা। এত তাড়াহুড়ো করে কোন হাই প্রোফাইল কোচই কাজ করতে চাইবেন না – অতএব হাতুরুসিংহেকে সরিয়ে দিতে চাইলে এসব ফ্যাক্টর মাথায় রাখতেই হচ্ছে।