জৈব বলয়ে সিরিয়াস বিসিবি

বাংলাদেশের বিপক্ষে এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসার আগে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তাদের প্রধান শর্ত ছিলো করোনা মহামারীরতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে হবে। তাদের শর্ত অনুযায়ীই সব করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমনকি কেউ কোভিড পজিটিভ হলেও আলাপ করে কোনো ভাবে সিরিজ চালিয়ে নেওয়া যায় কি না –  সে নিয়েও ভাবছে দুই দেশের বোর্ড।

শুধু বিসিবিই নয়, করোনা মাহামারীতে সিরিজ আয়োজন করতে সব বোর্ডই কঠোর অবস্থানে থাকে। এরপরেও সিরিজ চলাকালীন করোনা পজেটিভ হওয়ার ঘটনা কম ঘটেনি। কেউ করোনা পজিটিভ হলে ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া বা সিরিজই পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আমরা এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই দুইটা আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করেছি। আমাদের দলও বিদেশ সফর করেছে। আমাদের সেই অভিজ্ঞতাটা হয়ে গেছে কোন বিষয় গুলো কি, কি কি সতর্কতা অবলম্বন করলে সফল ভাবে ইভেন্টটা শেষ করা যাবে। তারপরও আমি বলি এ ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জটা হলো কেউ পজিটিভ হলে আমরা দুই বোর্ড আলোচনা করেছি এরকম কিছু হলেও সিরিজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটা নিয়ে কাজ করবো ও সফল ভাবে সিরিজটা শেষ করবো।’

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শর্ত গুলোর ভিতর একটি ছিল বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন না করে সোজা তাদের নিয়ে যেতে হবে টিম হোটেলে। এমন কি তাদের যে হোটেলে রাখা হবে সেই হোটেলে বাইরের কেউ অবস্থান করতে পারবে না। আর সিরিজের সব গুলো ম্যাচ আয়োজন করতে হবে একই ভেন্যুতে।

তাদের শর্ত অনুযায়ী সব ম্যাচ শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হচ্ছে। এরপর তারা আবার শর্ত জুড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভেন্যুর মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে বিসিবির কোন কর্মকর্তা বা মাঠকর্মীরা মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি সিরিজ শুরুর আগে দশ দিনের কোয়ারেন্টাইন করেনি এমন কাউকে স্কোয়াডেও নেওয়া যাবেনা।

সুজন জানিয়েছেন তাদের সব শর্ত অনুযায়ীই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা, ‘আমাদের যেই রকম প্রস্তুতি নেওয়ার আমরা সেটা নিচ্ছি। ভেন্যু, হোটেল এই সব বিষয়ে ওদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাদের মূল চিন্তাই হল জৈব সুরক্ষা বলয় সুনিশ্চিত করা এবং তাদের খেলোয়াড়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি

  • প্রথম টি-টোয়েন্টি: ৩ আগস্ট
  • দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: ৪ আগস্ট
  • তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: ৬ আগস্ট
  • চতুর্থ টি-টোয়েন্টি: ৭ আগস্ট
  • পঞ্চম টি-টোয়েন্টি: ৯ আগস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link