করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে বিসিবি

করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাপ পিছনে ফেলে যখনই দেশের ক্রীড়াঙ্গন সরব হতে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই দেশে শুরু হয়েছে এর দ্বিতীয় ধাপ। বর্তমান বাংলাদেশে করোনা পরিস্তিতি বেশ উদ্বেগজনক। হঠাৎ করে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে দেশে চলছে এক সপ্তাহের লকডাউন। এই লকডাউন ধাপে ধাপে আরো বাড়ানোর সিদ্বান্ত নিয়েছে সরকার।

করোনার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২২তম আসর স্থগিত হওয়ার পর গতকাল স্থগিত হয়ে গেছে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বাংলাদেশ সফর। করোনার কারণে শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজ, বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ে সফর এবং এশিয়া কাপ।

গনমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এই সিরিজ গুলো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন এগুলো আবার কবে মাঠে গড়াবে তা সম্পূর্ন নির্ভর করছে করোনা পরিস্তিতি ও সরকারের সিদ্বান্তের উপর।

তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস আপনাকে বুঝতে হবে যে আমরা কিন্তু সরকারের সিদ্বান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ী চলছি। সরকার থেকে যে রকমই সিদ্বান্ত আসুক, যদি সম্ভব হয় তবে খেলা আয়োজন করবো। সম্ভব না হলে করবো না।’

দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত মাসে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে মাঠে ফিরেছিলো দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট। কিন্তু মাত্র দুই রাউন্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে এনসিএলের ২২তম আসর। বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন পরিন্তিতি অনুকূলে আসলে আবার শুরু হবে এনসিএল।

এ প্রসঙ্গেে তিনি বলেন, ‘এনসিএলের বিষয়টা হচ্ছে আপনার জানেন যে আমরা দুইটা রাউন্ড শেষ করেছিলাম। তারপর তৃতীয় রাউন্ডের আগে একটা গ্যাপ নিয়েছি। যদি সবকিছু পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে হয় তাহলে আবার এনসিএলটা শুরু করব।’

আগামীকাল টেস্ট চ্যাম্পিনশিপের দুটি টেস্ট খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ। এই সফর শেষে আগামী মে মাসে তিনটি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে শ্রীলঙ্কার। এরপর আবার পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে বাংলাদেশ। নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন এই দুই সিরিজের সব কিছুই আগের মতোই আছে; করোনা পরিস্তিতি আরো খারাপ হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবেন তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘আইসিসির এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) অনুযায়ী শ্রীলঙ্কারও বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। আমরা আশা করছি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীলঙ্কা তিনটা ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশে আসবে। আমরা সব কিছু বিবেচনায় রেখেই প্রোগ্রাম করছি। তার পরেও যদি অসুবিধা হয় তখন পরিস্তিতি বুঝে ব্যবস্থা নেবো। জিম্বাবুয়ের যে সূচিটা সেটা চূড়ান্ত হলে আপনারা পেয়ে যাবেন। এফটিপির যে সূচিটা আছে এখন পর্যন্ত সে ভাবেই চলছে।’

করোনার কারণে গত বছর স্থগিত হয়ে যাওয়া এশিয়া কাপ চলতি বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর জুন মাসেই অনুষ্ঠিত হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ভারত। ঐ সময় ফাইনাল খেলার কারণে এশিয়া কাপে খেলার সম্ভবনা নেই ভারতের।

টেস্ট চ্যাম্পিনশিপের ফাইনাল ও করোনা বিপর্যয় মিলিয়ে শঙ্কায় পড়ে গেছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের এই আয়োজন। এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন তথ্য দিতে না পারলেও সুজন জানিয়েছেন টুর্নামেন্ট হবে এটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তাঁরা।

সুজন বলেন, ‘এশিয়া কাপটা যেহেতু এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল দেখছে। আমার মনে হয় এই বিষয়ে তথ্য দিতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলই সঠিক সংস্থা। আমরা সদস্য হিসেবে এটা বলতে পারি যে আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি যদি এশিয়া কাপের কোনো স্লট নির্ধারিত হয় আমরা সেভাবে অংশগ্রহণ করব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link