হারমানপ্রীত কৌরের ঘটনা মিরপুরে আগুন ঝরিয়েছে। মাঠেই আউট হয়ে ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙেছেন তিনি। পরে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়ারিং নিয়ে।
এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের সাথে ট্রফি ভাগাভাগির ফটোসেশনেও আম্পারিং নিয়ে কথা বলেছেন। এমনকি কটুক্তি করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরও। যেটার রেশ ছিল দু’দলের সংবাদ সম্মেলনেও।
ক্রিকেটের স্পিরিট যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে চুপ থাকতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। আপাতত ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। সেটা মনোপুত না হলে প্রয়োজনে আইসিসির কাছে এই ব্যাপারে নালিশ করবে বিসিবি।
এমনকি বিসিবি কথা বলবে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সাথেও। গণমাধ্যমকে এমন কথাই বলেছেন বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, আপনারাও তো মাঠে ছিলেন, খেলাটা দেখেছেন। আম্পায়ার যে সিদ্ধান্তগুলো দিয়েছেন সেগুলোর সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমরা যারা পরবর্তীতে রিপ্লেগুলো যখন দেখেছি আমরা নি:সন্দেহে বলা যায় আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে কথা বলা বা প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই।’
হারমানপ্রীতের আচরণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যেভাবে বলেছে (হারমানপ্রীত কৌর) আমি মনে করি বোর্ড টু বোর্ড কথা হবে। ম্যাচ রেফারি ছিলেন সেটা তো সে (হারমানপ্রীত) প্রকাশ্যে বলেছে, নিশ্চয় রিপোর্টে এই বিষয়গুলো নিয়ে আসবেন। তখন আমরা দেখবো।’
নাদেল মনে করেন, ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে এমন আচরণ কাম্য নয়। তিনি বলেন, ‘দেখুন ক্রিকেটকে আমরা কি বলি? ভদ্রলোকের খেলা। এই জায়গায় আপনাকে অবশ্যই ভালো খেলোয়াড় হওয়ার আগে আপনার ভদ্রতা সম্পর্কে এবং ক্রিকেটীয় জ্ঞানটা আগে অর্জন করতে হবে। তারপর আমরা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ম্যাচ খেলব, মন্তব্য করব।’
আপাতত বিসিবি অপেক্ষা করছে ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। নাদেল বলেন, ‘আমি মনে করি এই জায়গায় ঘাটতি আছে। যেহেতু বিষয়টা আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির, তাদের ম্যাচ রিপোর্টে তারা বলবেন। মাঠে আরও দুই একটা ঘটনা যেটা ঘটেছে সেটা কোনভাবেই কাম্য নয় এবং ক্রিকেটের সঙ্গে সেটা কোনভাবেই যায় না।’