চতুর্থ আম্পায়ারদের কাজের পরিধি বাড়াল বিসিসিআই

নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন চতুর্থ আম্পায়াররা, বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) তাঁদের কাজের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছেন খানিকটা। আর সেজন্য চলতি আইপিএলে চতুর্থ আম্পায়ারকে কোন রূপ বিরক্ত না করার জন্য দলগুলোকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে৷ 

নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন চতুর্থ আম্পায়াররা, বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) তাঁদের কাজের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছেন খানিকটা। আর সেজন্য চলতি আইপিএলে চতুর্থ আম্পায়ারকে কোন রূপ বিরক্ত না করার জন্য দলগুলোকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে৷

আইসিসির নিয়মের বাইরে গিয়ে বিসিসিআই আইপিএলের জন্য অতিরিক্ত কিছু নিয়ম চালু করে। এবারের আইপিএলে অবশ্য চতুর্থ আম্পায়ারকে বাড়তি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নিজেদের অন্যান্য দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাই তাঁদের অতিরিক্ত কিছু কাজ করতে দেখা যাবে।

এর মধ্যে রয়েছে যেকোনো সময় ব্যাটের আকার, আকৃতি পরীক্ষা করা; কেবল ম্যাচের সময় নয়, অনুশীলনের সময়ও তাঁরা এমনটা করতে পারবেন। এছাড়া দুই দলের ডাগ আউটের দিকে নজর রাখবেন আম্পায়ার, বিশেষ করে যেসব বোলার বোলিং শেষে বিশ্রাম নিতে চান তাঁদের দিকে নজর রাখা হবে।

অধিনায়কদের সঙ্গে একটি সভায় বিসিসিআই একটি নোট প্রকাশ করে৷ সেখানে লেখা ছিল, ‘ম্যাচ ঠিকভাবে পরিচালনার জন্য চতুর্থ আম্পায়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য তাঁদের কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। অন্যান্য পালনের পাশাপাশি তাঁরা ম্যাচ এবং অনুশীলনের যেকোনো সময় ব্যাট চেক করবেন; সেই সাথে বোলার এবং অন্য যাদের বিশ্রাম নেয়ার অভ্যাস আছে তাঁদের ওপর নজর রাখবেন।’

এছাড়া চতুর্থ আম্পায়ার জরুরি পরিস্থিতিতে তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করবেন। প্রতিটা ইনিংসের শুরুতে অন্তত ছয়টা নতুন বল নিয়ে ড্রেসিংরুমে গিয়ে বল নির্বাচন করতে হবে তাঁকে। এবং অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ যেন পিচের দিকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আইপিএল শুরুর ঠিক আগে এই সভায় আরো কিছু সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই যেমন, স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার টাইমআউট কল করলে, কোচ বা অধিনায়কের সিদ্ধান্ত আর গ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া ডিএলএস মেথডে রিয়াটার্ড ব্যাটারকে আউট ধরে হিসেব করা হবে৷

Share via
Copy link