জাতীয় দলের হয়ে শেষ খেলেছেন গতবছর জুলাইয়ে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যদিও একসময় মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভাবা হতো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। জাতীয় দলে ফেরার অড়াইটা তাই এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। বিসিএল (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ) ওয়ানডেতে আজ ব্যাটে বলে পারফর্ম করে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
সিলেটে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মোসাদ্দেকদের সেন্ট্রাল জোন। ওপেনিং করতে নেমে সৌম্য সরকার তাঁদের ভালো শুরু এনে দেন। ৬০ বলে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। এরপর আব্দুল মাজিদের ৫৩ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহের ভিত পায় সেন্ট্রাল জোন। আজ ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসানও ছিলেন যথেষ্ট সাবলীল। খেলেন ৩৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। আর ৫ নম্বরে দলের অধিনায়ক মোসাদ্দেক ব্যাট করতে নেমে ৫৫ বলে করেন ৫৪ রান। শেষ দিকে মোসাদ্দেকের এই ইনিংসে ২৬২ রানের সংগ্রহ পায় সাকিবরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নর্থ জোনের পারভেজ হোসেন ইমন ও নাঈম ইসলাম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। ইমনের ৩০ ও নাঈমের ৭২ রানে ভর করে একসময় জয়ের স্বপ্নও দেখতে শুরু করে নর্থ জোন। এরপর মাহুমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৩ রানের ইনিংস খেললে ম্যাচকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেও আবারো বাঁধা হয়ে দাড়ান মোসাদ্দেক। এবার বল হাতে নেন রিয়াদের উইকেট। ফলে ২৮ রানের সহজ জয় পায় সেন্ট্রাইল জোন। আর ব্যাট হাতে ৫৪ ও বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
দিনের আরেক ম্যাচে ইস্ট জোনের বিপক্ষে তিন উইকেটে জয় পায় সাউথ জোন। ইস্ট জোনের হয়ে আজ অনেকদিন পর মাঠে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। যদিও প্রত্যাবর্তনটা ভালো হয়নি একেবারেই। ২৭ বলে ৯ রান করে ফিরেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। তবে ইমরুল কায়েস খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। ওদিকে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটিং স্টার আশরাফুলও খেলেছেন ইস্ট জোনের হয়ে। তবে ৫৭ বলে ১৪ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে সমালোচনার স্বীকারই হয়েছেন বেশি। শেষ দিকে ইরফান শুক্কুর ও সোহরওয়ার্দী শুভর ছোট জুটিতে ১৯২ রান করে তাঁরা।
ওদিকে জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাউথ জোনের কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও সবাই ছোট ছোট ইনিংস খেলেছেন। তৌহিদ হৃদয়ের ২৩, জাকির হোসেনের ২৭, নাহিদুল ইসলামের ২৭ ও মেহেদী হাসানের ৩৭ রানে ভর করে তি উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় সাউথ জোন। ব্যাট হাতে ২৭ ও বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে এই ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন নাহিদুল ইসলাম।