লাল বল ভীতি ‘এ’ দলের মনেও

বাংলাদেশ দলের টেস্ট টেম্পারমেন্টের ঘাটতির প্রতিফলনই ঘটাল বাংলাদেশ এ দল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা একেবারে পরিষ্কার করে দিয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের অপারগতা। 

বাংলাদেশ দলের টেস্ট টেম্পারমেন্টের ঘাটতির প্রতিফলনই ঘটাল বাংলাদেশ এ দল। নিউজিল্যান্ড এ দলের কাছে ৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে তারা। গোটা ক্রিকেট কাঠামোতে যে লঙ্গার ভার্শন একটা ভয়ের নাম- সে প্রতিচ্ছবি হয় রইল সিলেটের চারদিনের ম্যাচ।

প্রথম ইনিংসে ১২ রানের লিড নিতে পেরেছিল নুরুল হাসান সোহান ও তার দল। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের প্রত্যাশাই ছিল তাদের কাছ থেকে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা একেবারে পরিষ্কার করে দিয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের অপারগতা।

যদিও যেকোন উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা ভীষণ কঠিন কাজ। তাছাড়া লক্ষ্যমাত্রাও ছিল প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি বোলারদের দায়ও খুব একটা কম নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড এ দলকে অলআউট করতে বাংলাদেশ এ দলের সময় লেগেছে ৮০.১ ওভার। হাসান মুরাদ পাঁচ উইকেট পেয়েছেন বটে।

কিন্তু তবুও তা যথেষ্ট দ্রুততম সময়ে সম্পাদিত হয়নি। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে না আসার সিংহভাগ দায় ব্যাটারদের। স্রেফ টিকে থাকলেও ম্যাচটি ড্র হওয়া ছিল অবধারিত। কিন্তু সেটুকু শক্তি প্রদর্শনে ব্যর্থ মাহমুদুল হাসান জয়রা।

পাঁচ রানে গিয়েছে বাংলাদেশের শেষের চার উইকেট। তার আগে টপ অর্ডারের তিনজন প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ৪৬ রান করতে না করতেই। জাকির হাসান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন স্রেফ স্রোতের বিপরীতে ফিফটি তুলতে পেরেছেন। এছাড়া দুই অংকের ঘর পার করেছেন এনামুল হক বিজয় ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

এই যখন অবস্থা তখন নিশ্চয়ই বাংলাদেশের টেস্টের দুর্দশার পেছনের কারণ বর্ণনা না করলেও চলছে। দেশের ক্রিকেটের প্রতিটা স্তরেই লাল বলের দূর্বলতা নিত্যদিনের ঘটনা। এসব থেকে উত্তরণের পথ বেশি বেশি লঙ্গার ভার্শনের ক্রিকেট আয়োজন। সেটা ছায়া দল থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট সর্বত্রই হতে হবে। কেবল তবেই আন্তর্জাতিক টেস্ট পর্যায়ে ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে আসবে।

Share via
Copy link