বাউন্ডারিতে অর্ধেকের বেশি রান, টি-টোয়েন্টি বুঝে গেছে ব্যাটাররা!

এক পঞ্জিকাবর্ষে ১৫টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ দল। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি কখনোই। এর মূল কারণ ব্যাটারদের মানসিকতার উন্নয়ন। 

অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ২০২৫ সাল কেটেছে বাংলাদেশের। তবে টি-টোয়েন্টিতে ২০২৫ সালটা উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত হয়ে রইল বটে। এক পঞ্জিকাবর্ষে ১৫টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ দল। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি কখনোই। এর মূল কারণ ব্যাটারদের মানসিকতার উন্নয়ন।

২০২৫ সালে বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে মোট ৩০টি। এই সময়ে বাংলাদেশের মোট ৪৪২৫ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে। ২০২৪ সালে যে সংখ্যাটা ছিল ৩৪৩২ রান। ব্যবধান ছিল স্রেফ ছয়টি ম্যাচের। ২০২৩ সাল ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছর। সেই বছরে কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ।

২০২২ সালে অবশ্য ২১টি ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা। সেই ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশী ব্যাটারদের সংগ্রহ ছিল ৩০৮৬ রান। ধারাবাহিকভাবে ব্যাটারদের যে উন্নতি ঘটেছে- সেটা তো দিনের আলোর মতই পরিষ্কার। এই রান সংগ্রহের ধারাতেও পরিবর্তন এনেছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা।

২০২২ সালে, মোট সংগৃহীত রানের স্রেফ ৪৭ শতাংশ এসেছে বাউন্ডারি থেকে। যেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা চার হাঁকিয়েছেন ২৪৬টি। আর ছক্কা ছিল মোটে ৭৯টি। ২০২৪ সালে সর্বক্ষেত্রেই পরিসংখ্যানগত উন্নতি ঘটেছে। মোট রানের ৫২ শতাংশ রান এসেছে বাউন্ডারি থেকে। সেখানে ১২২ ছক্কার বিপরীতে ২৬৭টি চার এসেছে টাইগার ব্যাটারদের ব্যাট থেকে।

২০২৫ সালটা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ঠিক কতটুকু ভাল কেটেছে তা বোঝার অন্যতম নিয়ামক ছক্কার সংখ্যা। ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ছক্কা মেরেছেন তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমনরা। ছক্কার ডাবল সেঞ্চুরি এবারই প্রথম- ২০৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন লিটন দাস ও তার দল। চারের সংখ্যা ২৯৮টি।

আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ধারায় মোট সংগ্রহের ৫৪ শতাংশ রান টাইগার ব্যাটাররা আদায় করেছেন বাউন্ডারি থেকে। সামগ্রিকভাবেই দলের ব্যাটারদের উন্নতি ঘটছে। এখন আর শুধু বোলারদের ভরসায় অন্তত বাংলাদেশকে বসে থাকার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের ব্যাটাররাও ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা অর্জন করতে শুরু করেছেন।

তবে এখনই স্বস্তি ঢেঁকুর তোলার সুযোগ নেই। কেননা এই ধারাবাহিক উন্নয়নের ছন্দপতন যাতে না ঘটে, সেদিকেই রাখতে হবে নজর। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের পাইপলাইনের দিকেও নজর দিতে হবে। নতুবা এই ধারা মুখ থুবড়ে পড়া অবধারিত।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link