২০২৬ সালে দম ফেলার সুযোগ নেই বাংলাদেশের

২০২৬ সালটা বেজায় ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটতে চলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। আইসিসির সূচি অনুযায়ী, তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সাতটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এখন পর্যন্ত নিশ্চিত।

মোট মিলিয়ে ৪০ ম্যাচ। ২০২৬ সালটা বেজায় ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটতে চলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। আইসিসির সূচি অনুযায়ী, তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সাতটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এখন পর্যন্ত নিশ্চিত। মাঝে দু’টো বিরতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চাইলেই আরও দু’টো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে পারবে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বাদশ আসর শেষ হবে, ২০২৬ সালের ২৩ জানুয়ারি। এরপর, ১৪ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ দলকে প্রবেশ করতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বলয়ে। সেই টুর্নামেন্টে কতদূর যাবে বাংলাদেশ, সেটা অবশ্য সময়ই বলে দেবে। তবে খুব বেশিদূর দলও যেতে নাও যদি পারে, তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরপরই তাদেরকে শুরু করে দিতে হবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রস্তুতি।

কেননা মার্চেই যে বাংলাদেশের আসতে চলেছে পাকিস্তান। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে তারা। দু’টো টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর আবার এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর করবে নিউজিল্যান্ড। ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের পাশাপাশি, তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলবে টাইগাররা।

তারপর বহুল প্রতিক্ষিত অস্ট্রেলিয়া সফর। ২০২১ সালের পর আবারও সাদা বলের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে পা রাখবে অজিরা। তাদের বিপক্ষে জুন মাসে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে সামলাতে হবে টাইগার ক্রিকেটারদের। তার আগে মে মাসে, নিঃসন্দেহে অন্য আরেক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করার প্রচেষ্টা চালাতে পারে বিসিবি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা সিরিজের পর, জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। আফ্রিকার দলটির বিপক্ষে দুইটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ নির্ধারণ করে দিয়েছে আইসিসি। জুলাইয়ের পর, আগস্টেও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ রয়েছে। আয়ারল্যান্ডে যেতে হবে বাংলাদেশ দলকে। আইরিশরা তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করবে।

অক্টোবরে দেশে ফিরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে টাইগাররা। তারপর নভেম্বরে, ২০২৬ সালের নির্ধারিত শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে, দুইটি টেস্ট খেলার চ্যালেঞ্জ-সহ, আরও তিনটি ওয়ানদে খেলতে হবে বাংলাদেশ দলকে।

আগামী বছরে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সূচি অনুযায়ী, আটটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাচ্ছে বাংলাদেশ। এছাড়া ২০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা নিশ্চিত বাংলাদেশের। যেহেতু তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২৭ সালে মাঠে গড়াবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, সেহেতু এই ওয়ানডে ম্যাচ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে বিশ্বকাপ বাদে, মোট ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নামবে টাইগাররা।

 

 

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link