ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস। শুধু যে ম্যাচ হাত থেকে ফসকে যায় তা নয়। লজ্জার কারণও হয়। তেমন এক লজ্জাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। লং অফ দিয়ে উড়ে যাওয়া বলটা তালুবন্দি তো করতেই পারেননি, উলটো বলকে পাঠিয়েছেন বাউন্ডারির ওপারে। ঠিক সে মুহূর্ত থেকেই ম্যাচের ভাগ্য ঝুকে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে।
বাংলাদেশ দলের বর্তমান সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বেশ জোরালভাবেই বলেছিলেন, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের গেমসেন্সের অভাব রয়েছে। সেই কথার সত্যতা তানজিদ তামিমের সেই ক্যাচ মিস। বাউন্ডারির বেশ খানিকটা ভেতরের বলটা গেম অ্যাওয়ারনেসের অভাবের কারণেই তালুবন্দী হয়নি। কেননা তামিম ভেবেছিলেন তিনি সীমানা দড়ির খুব কাছাকাছিই রয়েছেন।
ওই ছক্কায় আরব আমিরাতের ব্যাটার আলিশান শারাফু তুলে নেন ফিফটি। আরও খানিকটা আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করে ফেলেন তিনি। ওই ছক্কা হওয়ার আগে পর্যন্ত ম্যাচ ঝুলছিল পেন্ডুলামের মত। আরব আমিরাতের জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল পাঁচ ওভারে ৫২ রান। কিন্তু ওই একটি ক্যাচ মিসের ফলে রিশাদের সেই ওভারে আরও দুইটি ছক্কা আদায় করেন আসিফ খান।
ব্যাস! ম্যাচের মোমেন্টাম ততক্ষণে আমিরাতের হাতের মুঠোয়। সেখান থেকে বাংলাদেশ আর ফিরতে পারেনি। আরব আমিরাত গড়ে ফেলে ইতিহাস। এর আগে টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্মৃতি নেই আরব আমিরাতের। উচ্ছ্বাসের প্রবল স্রোত বয়ে যায় পুরো আরব আমিরাতের শিবিরে।
অবশ্য এই জয় তাদেরই প্রাপ্য। বাংলাদেশের ব্যাটারদের যথারীতি ভীষণ কুৎসিত ব্যাটিং প্রদর্শনের পর, প্রতিপক্ষ যতই ছোট হোক না কেন- জয় তাদেরই প্রাপ্য। এদফা তো ব্যাটারদের সম্মান খানিকটা বাচিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ, ১২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে।
কিন্তু সেই তারাই বল হাতে নিজেদের সম্মান রক্ষার কাজটি যথাযথভাবে করতে পারেননি। তাতে করে পাঁচ বল ও সাত উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় আরব আমিরাত। দুই ম্যাচের সিরিজকে তিন ম্যাচে বর্ধিত করাই যেন এখন বাংলাদেশের জন্যে কাল হয়ে দাঁড়াল। লজ্জার এক সিরিজ পরাজয় সঙ্গী করে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন লিটন দাস ও তার দল।