প্রেমাদাসায় বাংলাদেশের নেই কোন প্রেমের গল্প

শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম রানাসিংহ প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামেই সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। কিন্তু এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পূর্ব অভিজ্ঞতা ভীষণ বাজে। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে সাফল্য একেবারে শূন্যের কাছাকাছি।

শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম রানাসিংহ প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামেই সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। কিন্তু এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পূর্ব অভিজ্ঞতা ভীষণ বাজে। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে সাফল্য একেবারে শূন্যের কাছাকাছি।

এখন অবধি প্রেমাদাসায় ১৩ খানা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। এই ১৩টি ওয়ানডের মধ্যে স্রেফ একটি ম্যাচ জিততে পেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে সেটাও আবার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নয়। এই ময়দানে বাংলাদেশের একমাত্র জয়টি এসেছিল ভারতের বিপক্ষে।

২০২৩ সালের এশিয়া কাপের ম্যাচে ছয় রানের দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগের সব ক’টি ম্যাচেই পরাজয়ের বিষাদ হয়েছে টাইগারদের সঙ্গী। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পুরোটাই আয়োজিত হয়েছিল প্রেমাদাসায়।

দুঃখজনক এক অভিজ্ঞতা সেবার হয়েছিল বাংলাদেশের সঙ্গী। ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল। এই তো গেল পরাজয়ের ফিরিস্তি। এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফরমেন্সও সাদামাটা।

সাদা বলের ফরম্যাট ছেড়ে দেওয়া মুশফিকুর রহিম এই মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশের পক্ষে। কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি মুশফিকও। সর্বোচ্চ ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি একটি ম্যাচে। এছাড়া আরও একটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার দখলে। তাকে স্বাভাবিকভাবে মিস করবে বাংলদেশ দল।

তাকে ছাড়াই ব্যাটিংয়ের গুরুদায়িত্ব নিতে হবে বাকিদের। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মুস্তাফিজুর রহমান আছেন স্কোয়াডে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি একাদশে থাকবেন সেটাও প্রায় নিশ্চিত। তিন ম্যাচ খেলে সাত উইকেট বাগিয়েছেন মুস্তাফিজ। যদিও এই পরিসংখ্যান মোটেও সন্তোষজনক নয়।

 

অতএব প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জন্যের পাহাড় টপকানোর চ্যালেঞ্জ। তার উপর টেস্ট সিরিজ জয় লঙ্কানদের রেখেছে আরও বেশি প্রফুল্ল। সুতরাং বাংলাদেশকে নিজেদের সর্বোচ্চটুকুই নিঙড়ে দিতে হবে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে।

Share via
Copy link