অভিনব কায়দায় আগ্রাসী ব্যাটিং করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা

রাবরই বাংলাদেশ এমন ধুন্ধুমার ব্যাটিং করে। আমরাই আসলে পাত্তা দেই না।

বাংলাদেশ ১১৯ বলে ২৩৬ রান করেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৪১ বলে ২২৮ রান নিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বরাবরই বাংলাদেশ এমন ধুন্ধুমার ব্যাটিং করে। আমরাই আসলে পাত্তা দেই না। অবাক হবেন না, ডট বলগুলো যুক্ত করে হিসেব করলেই সবকিছু হয়ে যাবে পরিষ্কার।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৯৭ বলে ২২৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ দল। তারও আগে, ২০২৪ এর শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৩ বলে ২৩৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। সুতরাং মারকাটারি ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের জুড়ি মেলা ভার। ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ডটবল গুলোকে বাদ রেখেই বলা।

কি আসে যায়, বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৬ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করায়? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও তো ৫০ ওভার ব্যাটিং করেছে। আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৪১ ওভার পর্যন্ত টিকে থেকেছে টাইগার ব্যাটাররা। দিনশেষে প্রায় দুইশ স্ট্রাইকরেটে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রান তো করেছেন, হোক না ৫০ শতাংশ বলই ডট।

বাংলাদেশ এভাবেই ব্যাটিং করে। এটাই বাংলাদেশের আগ্রাসনের স্টাইল। প্রতিটা দলেরই তো কিছু নিজস্বতা রয়েছে। প্রায় প্রতিটা ম্যাচের প্রায় ৫০ শতাংশ বলে রান নিতেই হবে এমন তো কোন কথা নেই। রান নেওয়া বলগুলোতে হতে হবে আগ্রাসী। ২০২৪ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ- এই সময়কালে বাংলাদেশ খেলেছে ১১টি ওয়ানডে ম্যাচ।

এই সময়ে ১৯৩ চার মেরেছে টাইগার ব্যাটাররা। কি ভেবেছেন ছক্কা মারেনি? মেরেছে মশাই মেরেছে, ৭৪ বার বলকে সীমানার ওপারে গিয়ে নিয়ে ফেলেছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। আর কিভাবে আগ্রাসী হওয়া যায়! আর কিভাবে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা যায় বলুন তো!

প্রতিপক্ষ ফিল্ডারদের খুব একটা কষ্ট দিতে চান না বাংলাদেশের ব্যাটার। মহানুভবতার এক অনন্য নিদর্শন। সেজন্যেই তো সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ছোড়া ১৭৩ বলে কোন রান নেয়নি দেশীয় ব্যাটাররা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে সংখ্যাটা ছিল ১৮১ টি। এরা তো অনেক দূরের দল।

এশিয়া মহাদেশের বন্ধু আফগানিস্তানকেও বেশি খাটাতে চায় না তারা। তাই তাদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৬৯ বলে কোন প্রকার রান নেয়নি বাংলাদেশের উদার ব্যাটাররা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাই ১১৯ বলে ২৩৭ করা নিয়ে অযথাই বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের আগ্রাসী ক্রিকেটের অভিনব ধারা চলছে, চলবেই। কে বলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা মারতে জানে না!

 

Share via
Copy link