রঙিন পোশাকে টেস্ট ম্যাচ। ফিল্ডিং দেখে অন্তত আপনার তেমনটাই মনে হবে। স্লিপে একজন ফিল্ডার থাকতেই পারেন। কিন্তু তানজিদ হাসান তামিমের বিপক্ষে শর্ট লেগেও একটা ফিল্ডার রাখলেন আকিল হোসেন। ঠিক আগের বলেই তিনি দেখিয়েছেন স্পিন জাদু।
লিটন দাস রয়েছে অফফর্মে। রানে ফিরতে ছিলেন মরিয়া। তাইতো তামিমের আগে চলে এলেন ওপেনিংয়ে। কিন্তু ওপেনিং পজিশনেও তিনি বড্ড ধুকছিলেন। কিংসটাউনের এদিনের উইকেট শুরু থেকেই স্পিনারদের পক্ষ নিতে শুরু করে। সেই ফায়দা তুলে লিটনকে আউট করেন আকিল।
ঘূর্ণিতে এতটা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন লিটন যে ক্রিজ ছেড়ে আসতে বাধ্য হন। কিন্তু সেই বলের গতি ও স্পিনে পরাস্ত হন। ক্রিজ থেকে এতটাই দূরে চলে এসেছিলেন লিটন যে আন্দ্রে ফ্লেচার অনায়াসে স্ট্যাম্পিং করেন লিটনকে। এরপরই তানজিদকে মানসিক চাপে ফেলার ফন্দি আঁটেন আকিল ও রভম্যান পাওয়েল।
ক্রিজে নেমে ঘূর্ণি সামলাতে গিয়ে খানিক হিমশিম খেয়েছেন তানজিদ তামিম। মাথায় বাড়তি চাপ বাড়িয়েছে শর্ট লেগের ফিল্ডারটা। দু’টো রান নিতে পারলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তামিম। পরের ওভারে স্ট্রাইকে আসা মাত্রই রস্টন চেজের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি।
তবে আকিল হোসেন পাওয়ার-প্লেতে বাংলাদেশকে ক্রিজের মধ্যে রীতিমত বন্দী করে রেখেছিলেন। নিজের স্পেলের চার ওভারে ১৮ খানা ডট বল দিয়েছেন তিনি। রান খরচ করেছেন ১৬টি। যার অধিকাংশই এসেছে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। মিরাজ একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন আকিল হোসেনের বলে।
তবে তাতে দৃশ্যপট একেবারেই বদলে যায়নি। বেশ একটা নড়বড়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। সেজন্য ব্যাটারদের দূর্বলতা যেমন দায়ী তেমনি স্পিনিং উইকেটের দায়ও রয়েছে। এছাড়া আকিল ও চেজদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের কৃতীত্ব তো রয়েছে অবশ্যই।