টানা দ্বিতীয় জয়ে জিম্বাবুয়ের যুবাদের উড়িয়ে দিল যুব টাইগাররা

জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৯১ রানের বিশাল জয়। যুব টাইগারদের জয়রথের অপ্রতিরোধ্য ধারা চলমান। 

জাওয়াদ আবরারের আগ্রাসী শুরু, মোহাম্মদ আবদুল্লাহর দৃঢ়তা, সামিউন বশির, আজিজুল হাকিম তামিমদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং- দারুণ মিশেলে জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৯১ রানের বিশাল জয়। যুব টাইগারদের জয়রথের অপ্রতিরোধ্য ধারা চলমান।

দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ এর বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ শেষে জিম্বাবুয়েতে পা রেখেছিল তামিমরা। ত্রি-দেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়া যুবাদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছিল ছোট টাইগাররা। এরপর স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমে তাদেরকেও নাস্তানাবুদ করেছে।

জিম্বাবুয়ে প্রথম টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণের জন্যে আগ্রাসনের রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন জাওয়াদ আবরার। স্বভাবজাত ভঙ্গিমায় ব্যাট চালিয়ে আরও একটি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৬৩ বলে ৮২ রানে থামে তার ১৩০ স্ট্রাইকরেটের আগ্রাসন। ততক্ষণে অবশ্য বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভীত প্রস্তুত।

এরপর তামিম, রিফাত বেগদের ৩০ ছাড়ানো ইনিংসে ৩০০ ছাড়ানো সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশে যুবারা। মাঝে অবশ্য ছন্দপতন ঘটে। কিন্তু একটা প্রান্ত আগলে রাখেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। শেষ অবধি ৬৪ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

তাতে করে ২৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দিতে সক্ষম হন আজিজুল হাকিম তামিম ও তার দল। সেই লক্ষ্যের জবাবে জিম্বাবুয়ের যুবারাও আগ্রাসী শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই আগ্রাসনকে দীর্ঘায়িত করতে দেননি বাংলাদেশের স্পিনাররা, বিশেষ করে সামিউন বশির ও তামিম।

এই দুইজনে মিলে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। বশিরের তিন শিকারের সাথে তামিমের শিকার দুই উইকেট। এছাড়াও আল ফাহাদ দুইটি, স্বাধীন ইসলাম ও দেবাশীষ দেবা একটি করে উইকেট নেন। তাএ করে জিম্বাবুয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ১৮৩ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

বড় জয়ে টেবিলের সবার উপরে রয়েছেন টাইগার যুবারা। টানা দুই জয়ে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা বাড়ালেন আবরার, আবদুল্লাহরা। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরও দুইটি করে ম্যাচ খেলবে টাইগার যুবারা।

Share via
Copy link