আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের প্রথম অ্যাসাইন্টমেন্ট ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি। সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল মিরাজ ও তার দল। এবার অন্তত মিরাজ সিরিজ জিততে চাইবেন যেকোন মূল্যে।

স্কোয়াডে পরিবর্তন স্রেফ দুইটি। একাদশে আসবে কয়টি? শ্রীলঙ্কা সফরের পর আবারও ওয়ানডে খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাওয়াশ করেছে টাইগাররা। সেই ধারা নিশ্চয়ই অব্যাহত রাখতে চাইবে ওয়ানডে ফরম্যাটেও। সেই লক্ষ্য নিয়েই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আবু ধাবিতে নামবে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের প্রথম অ্যাসাইন্টমেন্ট ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি। সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল মিরাজ ও তার দল। এবার অন্তত মিরাজ সিরিজ জিততে চাইবেন যেকোন মূল্যে। আর এমন পরিস্থিতিতে ইনজুরির কারণে তিনি দলে পাচ্ছেন না লিটন দাসকে। তার পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছন্দে থাকা সাইফ হাসান রয়েছেন বিকল্প হিসেবে।

লিটনের পরিবর্তে সাইফকে দেখা যেতে পারে একাদশে। তবে তার পজিশন কি হবে সে নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কেননা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে দল থেকে বাদ পড়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। সুতরাং সাইফকে ওপেনিংয়ে দেখা গেলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

তবে চার নম্বরের নিচে সাইফকে নামানো হতে পারে বোকামি। যেহেতু হৃদয়কে ঘিরে রয়েছে সংশয়, সেহেতু সাইফকে চার নম্বরে খেলানো হতে পারে সঠিক সিদ্ধান্ত। সেক্ষেত্রে নাঈম শেখ হতে পারেন বাংলাদেশের ওপেনার। তানজিদ হাসান তামিমের সাথে ইনিংস উদ্বোধনের দায়িত্ব নাঈমের কাঁধেই হতে পারে ন্যাস্ত।

তবে সাইফকে ওপেনার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে, মিডল অর্ডারে ব্যাটার বাড়াতে হবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে। সেক্ষেত্রে নুরুল হাসান সোহান রয়েছেন একমাত্র বিকল্প হিসেবে। কিন্তু প্রায় বছর দুই আগে শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন সোহান। অতএব আফগানদের বিপক্ষে তাকে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে, ছন্দেও রয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে নাঈম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকলেও কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। অতএব তাকেও সুযোগ দিতে হবে, সেদিক বিবেচনায়, সোহানের কপাল এখনই হয়ত খুলছে না। একাদশে সাইফ হবেন চার নম্বর ব্যাটার, ওপেনিংয়ে নাঈম শেখ। ব্যাটিং অর্ডার আর বাদ বাকি সব শ্রীলঙ্কা সিরিজের মতই থাকবে।

এছাড়া বোলিং আক্রমণে খুব বেশি পরিবর্তন হয়ত বাংলাদেশ করাতে চাইবে না। যেহেতু প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, সেহেতু তানভীর ইসলামকে দেওয়া হতে পারে একমাত্র বা-হাতি স্পিনারের দায়িত্ব। তাছাড়া পেস ইউনিটের কোন তিনজন প্রথম ওয়ানডেতে সুযোগ পাবেন সেটা বলা বেশ মুশকিল।

ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা মাথায় রেখে তাসকিন আহমেদ খেলানো হয়েছে স্রেফ একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, সিরিজের শেষ দু’টো ম্যাচে তিনি ছিলেন বিশ্রামে। অতএব তিনি প্রথম ওয়ানডে খেলতে চলেছেন- সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। তার সাথে হাসান মাহমুদকেও দেখা যেতে পারে একাদশে, কিংবা নাহিদ রানাও পেতে পারেন সুযোগ।

শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব সিরিজের দু’টো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তাদেরকে প্রথম ওয়ানডের একাদশে না দেখতে পারার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন বিশ্রামে। সেহেতু তাকে প্রথম ওয়ানডে খেলানোতে খুব বেশি বাঁধা থাকার কথা নয়। এই একটা জায়গাতেই তো বাংলাদেশের রয়েছে সমস্ত লাক্সারি।

বাংলাদেশের (সম্ভাব্য) একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, জাকের আলী অনিক, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link