অ্যাশেজ শুরুর আগে ইংল্যান্ডকে নিয়ে কথা বলেছেন মাইকেল ভন। তাঁর মতে, ইংল্যান্ডের সফলতা অনেকটা নির্ভর করছে বেন স্টোকসের পারফরম্যান্সের উপর। স্টোকস নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিতে পারলে জয় পাবে ইংল্যান্ড। নয়তো অ্যাশেজে হারতে হবে দলকে। এমনই মন্তব্য করেছেন ভন।
সাবেক অধিনায়ক ভন বলেন, ‘স্টোকস যদি উইকেট নিতে পারে ও রান করতে পারে তাহলে ইংল্যান্ড জিতবে। সে পারফর্ম করতে না পারলে অস্ট্রেলিয়া জিতে যাবে।’
ইংল্যান্ডের সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে নতুন রূপ দিয়েছেন স্টোকস। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার বিকল্প অপশন বেছে নিতে চাচ্ছে না দলটি। দলের সদস্যদের সেই স্বাধীনতা দিচ্ছেন অধিনায়ক। তবে এসবের পাশাপাশি নিজের খেলাতেও স্টোকসকে মনোযোগ দিতে বলেছেন ভন।
স্টোকস দল গুছিয়েছেন নিজের মানসিকতা দিয়ে। জয় নিয়েই শুধু ভাবতে চান তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিততে নেতৃত্বের পাশাপাশি পারফরম্যান্সেও দিতে হবে নেতৃত্ব।
স্টোকস নিজেকে প্রমাণ করেছেন বড় মঞ্চে। ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানোর মহানায়ক তিনি। অ্যাশেজের মত মঞ্চে তার দিকে চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকবে ইংরেজরা।
সর্বশেষ আইপিএলে ইনজুরিতে পড়েছিলেন স্টোকস। সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে। ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং করেননি কিছুই।
স্টোকস ইংল্যান্ডের টেস্ট জার্সিতে সর্বশেষ শতক পেয়েছেন ২০২২ সালের আগষ্টে। সে ম্যাচে দলকে এনে দিয়েছিল দাপুটে জয়। তবে এরপর এখন পর্যন্ত একবারও অর্ধ-শতক পায়নি তিনি। ফলে এমন পারফরম্যান্স বাড়তি চাপ স্টোকসের জন্য।
স্টোকস জীবনে উত্থান-পতন দেখেছেন। স্বাদ নিয়েছেন বিশ্বকাপ ট্রফির। শেষ উইকেটে অ্যাশেজ পর্বেই তৈরি করেছিলেন ইতিহাস। স্টোকসের মত ক্রিকেটারকে শুধুমাত্র পরিসংখ্যান দিয়ে বিবেচনা করা চরম বোকামি।
অ্যাশেজ শুরু হতে বাকি নেই বেশিদিন। এমন সময়ে স্কটল্যান্ডে গলফ খেলে সময় কাটাচ্ছে দলটি। মানসিক স্বস্তি আসতে পারে এমন কাজে। ভন মনে করেন মূল লড়াইয়ে ব্যর্থ হলে মানুষ কথা তুলবে এসব নিয়েই।
ভন বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডের অ্যাপ্রোচ ভালোবাসি। অ্যাশেজ শুরুর আগে স্কটল্যান্ডে গলফ খেলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে মাথায় রাখতে হবে, ব্যর্থ হলে মানুষ এ নিয়ে শুরুতে কথা বলবে।’
অ্যাশেজ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভন শুরুটা করেছেন দুই অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও বেন স্টোকসকে নিয়ে। ভনের মতে, ‘বর্তমান সময়ে দুনিয়ার অন্যতম সেরা অধিনায়ক এ দুজন। দুজনের মানসিকতা দারুণ।’
অ্যাশেজ শুরুর আগে দারুণ এক আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হলো অস্ট্রেলিয়ার। দ্য ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে দলটি। আইসিসির চারটি ট্রফি জয়ের গৌরব অর্জন করলো অজিরা।