টেস্টে ২০২৫ সালের সেরা একাদশ!

মাঝের সময়টাতে প্রতিটি দলের লড়াই, খেলোয়াড়দের ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সের হিসাব, সবমিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেট আরও একবার প্রমাণ করেছে, পাঁচ দিনের লড়াইয়ের আবেদন এখনও অমলিন। এই পারফরম্যান্সের নিরিখেই তৈরি করা হয়েছে ২০২৫ সালের সেরা টেস্ট একাদশ।

২০২৫ সাল, টেস্ট ক্রিকেটের ক্যালেন্ডারে আরেকটি অধ্যায় শেষ। ২৭ ডিসেম্বর বক্সিং ডে টেস্টের মধ্য দিয়ে পর্দা নামল বছরের শেষ টেস্ট ম্যাচের। বছর শুরু হয়েছিল বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির উত্তাপে।  মাঝের সময়টাতে প্রতিটি দলের লড়াই, খেলোয়াড়দের ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সের হিসাব, সবমিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেট আরও একবার প্রমাণ করেছে, পাঁচ দিনের লড়াইয়ের আবেদন এখনও অমলিন। এই পারফরম্যান্সের নিরিখেই তৈরি করা হয়েছে ২০২৫ সালের সেরা টেস্ট একাদশ।

ওপেনিংয়ে আছেন লোকেশ রাহুল। রোহিত শর্মার অবসরের পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে ইনিংস গড়েছেন তিনি। ১৯ ইনিংসে ৮১৩ রান, ইংল্যান্ড সফরে ৫৩২ রান, হেডিংলি ও লর্ডসের সেঞ্চুরি, আর ম্যানচেস্টারের সেই ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস রাহুলকে বানিয়েছে বছরের সেরা ওপেনার।

তার সঙ্গে ওপেন করবেন ট্রাভিস হেড। নতুন ভূমিকায় এসেই আগ্রাসনের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন অজি ব্যাটার। পার্থে ঝড়ো ১২৩, অ্যাডিলেডে ম্যারাথন ১৭০, এই দুই ইনিংসেই কার্যত অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দেন হেড। তিন নম্বরে যথারীতি জো রুট। বছরজুড়ে চারটি সেঞ্চুরি, গড় ৫০-এর ওপরে, টেকনিক আর অভিজ্ঞতায় এখনও তিনি টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ।

চার নম্বরে, আর এই একাদশের অধিনায়ক শুভমান গিল। ২০২৫ সালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বার্মিংহামে ডাবল সেঞ্চুরি আর সেঞ্চুরির যুগলবন্দি, ইংল্যান্ড সফরে নেতৃত্ব দিয়ে সিরিজ ড্র, ব্যাট আর নেতৃত্ব, দুটোতেই গিল ছিলেন অনন্য। প্রায় হাজার রানের বছর তাকে এই দলে অবিসংবাদিত করে তোলে।

পাঁচ নম্বরে রবীন্দ্র জাদেজা, ব্যাট হাতে যেন আরও পরিণত। গড় ৬৩-এর ওপরে, সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লড়াকু ইনিংস। ছয়ে বেন স্টোকস। বল হাতে ম্যাচের মোড় যেমন ঘুরিয়ে দিতে পারেন তেমনই ব্যাট হাতেও দলের ভরসা তিনিই।

উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স ক্যারি। শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অ্যাশেজ, সবখানেই ব্যাটে অবদান, সঙ্গে গ্লাভস হাতে নিখুঁত কাজ। অলরাউন্ড শক্তি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেন। ভারতের মাটিতে প্রোটিয়াদের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের নায়ক তিনি। বল হাতে বিধ্বংসী, ব্যাটে দরকারি রান, সবই তিনি করেছেন সমান তালে।

বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে মিচেল স্টার্ক। ৫৫ উইকেট, বিধ্বংসী স্পেল, আর ইতিহাসের পাতায় নাম, এই বছরটা ছিল স্টার্কের। তার পাশে স্পিনে সাইমন হার্মার, অল্প ম্যাচ খেলেও যার প্রভাব ছিল পাহাড়সম। পেস ইউনিটে আরেক নাম ভারতের মোহাম্মদ সিরাজ, দীর্ঘ স্পেল, অক্লান্ত পরিশ্রম আর ম্যাচ জেতানো ওভাল টেস্ট, সবমিলিয়ে এই একাদশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link