এশিয়া কাপের সেরা একাদশ

চলুন দেখে নেওয়া যাক খেলা ৭১ নির্বাচিত এবারের এশিয়া কাপের সেরা একাদশ।

একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে নবমবারের মত এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল ভারত। এই গোটা টুর্নামেন্টে, ভারতীয় খেলোয়াড়দের দাপট স্বাভাবিকভাবেই ছিল স্পষ্ট। তাইতো এবারের এশিয়া কাপের সেরা একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন চারজন ভারতীয় খেলোয়াড়। চলুন দেখে নেওয়া যাক খেলা ৭১ নির্বাচিত এবারের এশিয়া কাপের সেরা একাদশ।

  •  অভিষেক শর্মা (ভারত)

এবারের টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অভিষেক শর্মা। ৩১৪ রান করে ফাইনাল বাদে প্রতিটা ম্যাচেই ভারতের পক্ষে গড়েছেন মোমেন্টাম। বনে গেছেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়।

  • পাথুম নিসাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা)

ওপেনারদের মধ্যে রান সংগ্রহ বিবেচনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ২৬১ তুলেছেন পাথুম নিসাঙ্কা। দলকে ফাইনাল অবধি তুলতে পারেননি বটে। তবে এবারের টুর্নামেন্টে একটি মাত্র সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। তাও আবার চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে।

  • সাইফ হাসান (বাংলাদেশ)

এবারের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সকল অপ্রাপ্তির মাঝে একমাত্র প্রাপ্তি সাইফ হাসান। ব্যাট হাতে তিনি ছিলেন দলের অন্যতম সেরা পারফরমার। ১৭৮ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। এছাড়াও বল হাতে কার্যকর ওভার করে ম্যাচে মোমেন্টাম ঘোরাতে অবদান রেখেছেন সাইফ।

  • কুশল পেরেরা (শ্রীলঙ্কা)

চার নম্বরে এবারের টুর্নামেন্টে সেই অর্থে সফল হতে পারেননি কোন ব্যাটারই। তাইতো পারফরমেন্স ও অভিজ্ঞতার আলোকে তাকে রাখা হয়েছে এশিয়া কাপের সেরা সেরা একাদশে। তার ব্যাট থেকে প্রায় ১৪০ স্ট্রাইকরেটে এসেছে ১৪৬ রান।

  • তিলক ভার্মা (ভারত)

ফাইনালের ম্যাচ উইনার তিলক ভার্মা। গোটা টুর্নামেন্টে সেই অর্থে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়নি। তবে ফাইনালে ঠিকই তিনি দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন শিরোপা। এছাড়াও ধারাবাহিকভাবে রান করে ২১৩ রান জড়ো করতে পেরেছেন তিনি নিজের নামের পাশে।

  • দাসুন শানাকা (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে হোঁচট খেয়েছে। তবে দাসুন শানাকা ফিনিশার রোলে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টায় ৯৩ রান সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও তিনি বল হাতে কার্যকর বোলিংয়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে পাঁচ উইকেট বাগিয়েছেন। ব্যাট হাতে একটি ফিফটিও আছে তার।

  • আজমতউল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান)

সুপার ফোরে সুযোগ না পাওয়া আফগানিস্তানের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সেরা একাদশে আছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ব্যাট হাতে একটি ফিফটিতে ৮৯ রান করেছেন ২০০ ছাড়ানো স্ট্রাইকরেটে। এছাড়াও দারুণ ইকোনমিক্যাল বোলিং করে তিনটি উইকেটও রয়েছে তার পকেটে।

  • শাহিন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি শাহিন শাহ আফ্রিদি। দশটি উইকেট রয়েছে তার ঝুলিতে। টুর্নামেন্টের শুরুতে একটু রঙহীন থাকলেও শেষভাগে ঠিকই জ্বলে উঠেছিলেন শাহিন। এছাড়া ব্যাট হাতে তার প্রায় ১৮০ স্ট্রাইকরেটের ৮৩ রান পাকিস্তানের ফাইনাল অবধি যাত্রায় দারুণভাবে সহয়তা করেছে।

  • কুলদ্বীপ যাদব (ভারত)

 

টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট বাগিয়েছেন কুলদ্বীপ যাদব। ১৭ খানা উইকেট তুলে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন হতে সম্মুখ সারিতে থেকে অবদান রেখেছেন এই চায়নাম্যান। মিডল ওভারগুলোতে প্রতিপক্ষের রান শুকিয়ে লাগাম টেনেছেন, উইকেটও শিকার করেছেন সমানতালে।

  • বরুন চক্রবর্তী (ভারত)

কুলদ্বীপের সাথে জোট বেঁধে ভারতের শিরোপা জয়ের নকশা এঁকেছেন বরুণ চক্রবর্তী। ছয় ম্যাচে সাত উইকেট নিয়েছেন তিনি স্রেফ ৬.৫০ ইকোনমিতে। এই জুটির কল্যাণেই শেষ অবধি শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।

  • মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ) 

ছয় ম্যাচ খেলে নয় উইকেট নিজের পকেটে পুরেছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ডেথ ওভারে গোটা টুর্নামেন্টে তার থেকে দুর্ধর্ষ বোলিং করেননি আর কোন বোলার। বাংলাদেশের ফাইনাল খেলার স্বপ্নকে টিমটিম করে জ্বালিয়ে রেখেছিলেন মূলত এই বা-হাতি পেসার।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link