গতি নেই, তাই বলে নাকি সুইং অকার্যকর। এই অযুহাতে জাতীয় দল থেকে রীতিমত ছুড়ে ফেলা হয়েছে ভুবনেশ্বর কুমারকে। আরে মশাই, গতিই কি সব!
ভুবনেশ্বর আরও একটিবার বোঝালেন, ওই মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরনে দৌড়ে বেড়াচ্ছে এক একটি পরিকল্পনা। চর্মগোলক হাতে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দেওয়া যায় বাইশ গজের সমস্ত সমীকরণ।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান অবশেষে। এক বলের ব্যবধানে দুই ভয়ংকর ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান ভুবনেশ্বর। ব্যাঙ্গালুরুর বিশ্বস্ত সমর্থকদের মনে লালন করা স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তরিত করেন ডানহাতি এই পেসার।
নেহাল ওয়াধেরা, সক্ষমতা ছিল, সম্ভাবনা ছিল পাঞ্জাব কিংসের পক্ষে নায়ক হওয়ার মঞ্চও ছিল। তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন সে পথের দিকে। ওয়াধেরার গল্পের অ্যান্টিহিরো হয়ে হাজির হলেন ভুবনেশ্বর কুমার। জীবন সম্ভবত এমন বিচিত্র, কেউ কারো গল্পে নায়ক, আবার কারো গল্পের খলনায়ক। তবে ভুবনেশ্বের এতকিছুতে মাথা ঘামান না।
শরীর জুড়ে তার নেই পেসারসুলভ সেই আগ্রাসনের কোন বৈশিষ্ঠ্য। তাতে কি? চর্মগোলকের কারিকুরি দেখাতে পারলেই তো হল। তিনি তেমনটি করে মার্কাস স্টোয়িনিসকে দেখালেন সাজঘরের পথ।
মাঝের একটি বলা ছক্কা হজম করেও বিচলিত হননি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তাকে শিখেছে পরিস্থিতি বিরুপ হলেও শান্ত থাকতে হয়। জীবন ওলট-পালট হয়ে গেলেও, ভেসে যাওয়া খড়কুটো আকড়ে ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়।
ভুবনেশ্বর তো হাতের কাছে পেয়েছেন আস্ত এক শিরোপা। আর যতটুকু আছে তার নিজস্ব গল্প বাকি, ততটুকু পথের জ্বালানি তো পেয়ে গেছেন ভুবি।