ইতিহাসের সাক্ষী হতে কীর্তিপুরের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে এসেছিলেন হাজারো নেপালি দর্শক। নেপালি দর্শকদের সেই আবেগ, ভালোবাসা, অপেক্ষা শেষ পর্যন্ত বিফলে যায়নি।
এসিসি প্রিমিয়ার কাপের ফাইনালে আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে তাঁরা। এ জয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলো নেপাল।
কীর্তিপুরে এমন ইতিহাস গড়ার পথটা অবশ্য মোটেই সহজ ছিল না নেপালের জন্য। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ গড়িয়েছিল রিজার্ভ ডেতে। গতকাল টস জিতে ভেজা আবহাওয়ায় আরব আমিরাতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল নেপাল।
বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত ২৭.৩ ওভারে গতকাল ৯ উইকেটে ১০৬ রান তুলেছিল আরব আমিরাত। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিন আবারও মাঠে নেমে আরব আমিরাত যোগ করতে পারে মাত্র ১১ রান। ফলত, ১১৭ রানেই শেষ হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইনিংস।
তবে এমন সহজ লক্ষ্যও নেপালের জন্য ততটা সহজ ছিল না। ইনিংসে শুরুতেই স্পিন আক্রমণের মুখে পড়ে ২২ রানে ৩ উইকেট হারায় নেপাল। তবে সেখান দলকে উত্তরণের পথ দেখান গুলশান ঝা। ৮৪ বলে খেলেন ৬৭ রানের একটি সময়োপযোগী ইনিংস।
গুলশানের সাথে উইকেটে যোগ্য সঙ্গ দেম ভীম শার্কি। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে। আর এ দুই ব্যাটারের চতুর্থ উইকেটে নিরবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটিতে ঐ ৩ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নেপাল।
১০ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর অপরাজিত ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন গুলশান। আর পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে ৫৫ রান ও বল হাতে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন সন্দীপ লামিছানে
নেপালের ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ার এ দিনে দারুণ এক কীর্তিও গড়েছে নেপাল। কীর্তিপুরে এ নিয়ে চলতি বছরে ১০ টি ওয়ানডে ম্যাচ জিতল নেপাল। যা ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক রেকর্ড। এর আগে ২০১৫ সালে মিরপুরে ৯ টি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ দল।
প্রসঙ্গত, আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সে এশিয়া কাপে ‘এ’ গ্রুপে নেপালের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান আর ভারত। এর আগে, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে নেপাল।