‘ট্র্যাজিক হিরো’ হওয়াই বিজয়ের নিয়তি

ব্যাটে হাজার রানও হয়ে ওঠে না তার নিজস্ব আলোর উৎস। বিজয়কে তাই নিয়তি মেনে নিতে হয়, পরাজয়কে আলিঙন করতে হয়। দীর্ঘশ্বাসই তার সঙ্গী। 

শত প্রচেষ্টার পর এনামুল হক বিজয়ের হাতে লেখা হল না আরেক বিজয়গাঁথা। অভাগা যেদিকে যায়, নদী শুকিয়ে যায়। বিজয়ের ক্ষেত্রে এ কথা যেন ভীষণ খাটে। দারুণ একটা শতক হাঁকিয়েছেন বিজয়। দুইশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করে দলকে জয় এনে দিতে চেয়েছেন, কিন্তু শেষ অবধি পরাজিত সৈনিক হিসেবেই মাঠ ছেড়েছেন দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক।

বিজয় বেশ অভাগা এক চরিত্র। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরম করেও তিনি যথাযথ মূল্যায়ন পান না। লিটন দাসকে রাখা হয়নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে। তার হুবহু বিকল্প হতে পারতেন বিজয়। বিগত বেশ কিছু বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে রান করে যাচ্ছেন বিজয়। কিন্তু তবুও তার জায়গা হয়নি লিটনের পরিবর্তে।

একটা চাপা কান্না বিজয়ের হৃদয়ে প্রতিনিয়তই ঝড় তোলে। সেই ঝড়ের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরলেন যেন খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। যদিও বিজয়ের দুর্ভাগ্য কখনোই তার পিছু ছাড়েনি। বিপিএলে নিজের নামের প্রথম সেঞ্চুরি যুক্ত করলেন। কিন্তু শেষ অবধি পরাজয়ই হয়েছে তার সঙ্গী।

তিন দফা জীবন পেয়েছেন বিজয়। আর সেই সুযোগগুলো তিনি লুফে নিয়েছেন দু’হাতে। দলকে রেখেছিলেন একেবারে সঠিক পথে। একটা প্রান্ত থেকে জয়ের লড়াইটা চালিয়ে গেছেন।

মাত্র ৫৭ বলে শতক হাঁকিয়েছেন। স্ট্রাইকরেট ছিল তার প্রায় ১৭৬। কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে ঠিকঠাক সহযোগিতা তার মেলেনি। এই দায় নিজ কাঁধেই তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক।

কিন্তু তার উপর সকল দায় নিশ্চয়ই বর্তায় না। তিনি তার কাজ যথাযথভাবে করে গেছেনন প্রতিবার। বিধ্বস্ত বদনে তিনি বারংবার ফিরে গেছেন অন্ধকার চার দেয়ালে। ব্যাটে হাজার রানও হয়ে ওঠে না তার নিজস্ব আলোর উৎস। বিজয়কে তাই নিয়তি মেনে নিতে হয়, পরাজয়কে আলিঙন করতে হয়। দীর্ঘশ্বাসই তার সঙ্গী।

Share via
Copy link