পর্দা উঠল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১ তম আসরের। আর আসরের শুরুটাই বিজয়ের। আসরের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তাঁর। আসলে ঘরোয়া যে কোনো আসর মানেই তো ব্যাট হাতে বিজয়ের আধিপত্য।
সত্যিই ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি এনামুল হক বিজয়। ফরম্যাট যাই হোক, ঘরোয়া ক্রিকেট মানেই বিজয়ের ব্যাট জ্বলে উঠতে বাধ্য। ৫০ বলে চার বাউন্ডারি আর পাঁচ ওভার বাউন্ডারিতে করেছেন ৬৫ রান।
শুরুতেই কাইল মার্য়াসের সুইং তোপে পাওয়ার প্লেতেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রাজশাহী। তবে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন রাজশাহীর অধিনায়ক বিজয়। ইয়াসির রাব্বিকে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় দেখে শুনে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি।
ইনিংসের তিন নম্বর ওভারের চর্তুথ বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কা মেরে বাউন্ডারির খাতা খুলেন তিনি। ছাড় দেননি মার্য়াসকেও। তাকেও হাঁকিয়েছেন স্ট্রেইটে এক চোখ ধাঁধানো ছক্কা। রিপন মণ্ডল, তানভির ইসলামদের বল সীমানা ছাড়া করেই এগিয়েছেন বড় সংগ্রহের পথে।
ইয়াসির রাব্বির ঝড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে দেখেশুনে উইকেটে টিকে থেকে দলের মোমেন্টামটা ধরে রেখেছেন তিনি। ৪২ বলে করেছিলেন ফিফটি। এরপরেই হাত খোলার চেষ্টা চালিয়ে যান তিনি।
ফাহিম আশরাফের বলে আউট হয়ে সাজ ঘরে ফেরার আগে একই ওভারে হাঁকিয়ে গেছেন এক চার আর এক ছক্কা। ঘরোয়া ক্রিকেটের পরীক্ষিত সেনানী তিনি। আরও একবার দিলেন নিজের দক্ষতার পরিচয়।
ইনিংসটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে হয়ত মানানসই না তেমন। তবে তার ধৈর্যশীল ইনিংসটা দলকে এনে দিয়েছে মজবুত ভিত্তি। এতেই বড় সংগ্রহ করতে পেরেছে তার দল রাজশাহী।