বিস্মিত নাকি স্তব্ধ – ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে বোর্নমাউথের জয় দেখার পর আপনার প্রতিক্রিয়া কি? অবশ্য নিয়মিত প্রিমিয়ার লিগ দেখে থাকলে খুব বেশি বিস্মিত হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ জায়ান্ট কিলার হিসেবে আলাদা খ্যাতি আছে বোর্নমাউথের, সপ্তাহ দু’য়েক আগেই তো আর্সেনালকে হারিয়ে চমক উপহার দিয়েছিল তাঁরা। এবার নিজেদের ইতিহাসেই প্রথমবারের মত ম্যানচেস্টার সিটিকে হারালো।
ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকেও সেই একই স্বাদ দেয়ার পরিকল্পনা আগেই করা ছিল তাঁদের, হয়তো সেজন্যই মিনিটের কাঁটা দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই গোল করে বসেন অ্যান্টনিও সেমেনো। প্রোপার নাম্বাই নাইনের ভঙ্গিমায় গোলটা করেছিলেন তিনি, তখনই বোঝা গিয়েছিল ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময় বল দখলে রেখেছিল সিটিজেনরা, কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। স্বাগতিকদের জমাট রক্ষণে এতটুকু আঁচড় কাটতে পারেনি তাঁরা। অথচ দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ইভানিলসন স্লাইডিং ফিনিশিংয়ে দলের লিড দ্বিগুণ করেন। ৬৮ মিনিটের সময় সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন অধিনায়ক অ্যাডাম স্মিথ, নাহলে তখনই জয় নিশ্চিত হয়ে যেত দলটার।
অবশ্য দুই গোলে পিছিয়ে পড়ায় পরাজয় তখন থেকেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করে। তবু তাঁরা চেষ্টা করেছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচে ফিরতে চেয়েছে। সেই চেষ্টারই প্রমাণ জোসে গাভার্দিওলের গোল – ইল্কাই গুন্দোয়ানের পারফেক্ট ক্রস থেকে হেডারে বল জালে জড়ান তিনি।
অন্তিম সময়ে অবশ্য আর্লিং হাল্যান্ড গোল পেয়েই গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর প্রথম শট গোল লাইন থেকে সেভ করেন মার্ক ট্র্যাভার্স, রিবাউন্ডে নেয়া শট ফিরে আসে গোলবারে লেগে। ভাগ্য আসলে সহায় ছিল না তাঁর। তাই তো শেষ রক্ষা হয়নি, নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ম্যানসিটিকে।
কারাবাও কাপে টটেনহ্যামের কাছে হারার পরের ম্যাচেই আবার হেরে গেলো দলটা। অথচ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর টানা দুই ম্যাচে হার দেখতে হয়নি সমর্থকদের। তাছাড়া এর ফলে লিগে তাঁদের অপরাজিত থাকার দৌড় থেমে গেলো ৩২ ম্যাচ পরেই – সেই সাথে খুইয়ে বসেছে টেবিলের শীর্ষস্থান।