একটা কথা আছে, ব্যাটার আপনাকে ম্যাচ জেতাবে আর বোলার আপনাকে জেতাবে টুর্নামেন্ট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য কথাটা সত্যি, গত আসরেই তো পাকিস্তানকে জেতালেন মোহাম্মদ আমির এবং হাসান আলী। এবার সেই কাজটা কে করতে পারেন, উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে খেলা-৭১।
- কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)
জাসপ্রিত বুমরাহ নেই, মিচেল স্টার্ক নেই, ট্রেন্ট বোল্ট তো অবসর নিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাই পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নামটা কাগিসো রাবাদার। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে আছেন তিনি; পাকিস্তানের তুলনামূলক ফ্ল্যাট উইকেটে তাঁকেই দায়িত্ব নিতে হবে বেশি। সত্যি বলতে, তাঁর পারফরম্যান্সই নির্ধারণ করে দিবে দলটার ভবিষ্যৎ।
- মিশেল স্যান্টনার (নিউজিল্যান্ড)
একই চ্যানেল ধরে টানা বল করে যাওয়া, একের পর এক ডট বল দিয়ে ব্যাটারের ওপর চাপ সৃষ্টি কিংবা মাঝের ওভারে ব্রেক থ্রু আদায় করা – মিশেল স্যান্টনার সবই করতে পারেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাই নিউজিল্যান্ডের অন্যতম স্ট্রাইক বোলার ভাবা যায় তাঁকে। বিশেষ করে ট্রেন্ট বোল্টের অনুপস্থিতিতে তিনিই হতে পারেন দলটার মূল অস্ত্র।
- বরুণ চক্রবর্তী (ভারত)
মিশেল স্যান্টনার যদি হন নিউজিল্যান্ডের ভরসা, তাহলে বরুণ চক্রবর্তী নিঃসন্দেহে বুমরাহবিহীন ভারতের বোলিং বিভাগের মারণাস্ত্র। ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি যেভাবে নাচিয়ে ছেড়েছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের তাতে তাঁকে আতঙ্ক ভাবতে শুরু করেছে বাকি দলগুলোও। আর দুবাইয়ের স্লো উইকেটে এই রহস্যময়ী স্পিনার কি জাদু যে দেখাবেন সেটা কেবল তিনিই ভাল জানেন।
- তাসকিন আহমেদ (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশে পেস বসন্তের অগ্রদূত তাসকিন আহমেদ সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন এখন। বিপিএলে রেকর্ডগড়া পারফরম্যান্স করেছেন, এর আগে ২০২৪ সালে ৭ ওয়ানডেতে আদায় করেছেন ১৪ উইকেট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও টাইগারদের স্বপ্ন তাঁর উপর নির্ভর করছে। তিনি প্রত্যাশা মেটাতে পারলে বাংলাদেশও দারুণ কিছু করবে।
- রশিদ খান (আফগানিস্তান)
আইসিসির টুর্নামেন্টে আফগানিস্তান ইতিহাস ঘটবে এটাই যেন স্বাভাবিক, আর এর পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রশিদ খানের। আর এশিয়ার চেনা আবহাওয়ায় তিনি যে পুরনো রেকর্ডকেও হার মানাবেন সেটা নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকাকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁর বিপক্ষে।
- অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া)
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছিলেন অ্যাডাম জাম্পা, ভেঙ্গেছিলেন একের পর এক রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়াকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে তিনিই ছিলেন অগ্রণী পথিক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না; শক্তি হারানো অজিরা তো সেটার আশাতেই আছে।