রবি শাস্ত্রী মানেই অতিরঞ্জন, রবি শাস্ত্রী মানেই বক্স অফিস। সাবেক এই অলরাউন্ডার হলেন টসের মাস্টার। টসের ধারা বিবরণীকে তিনি নিয়ে গেছেন শিল্পের পর্যায়ে। টসের সময় এলেই তিনি এমন কিছু করবেন যা অভাবনীয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চেও সেটা আছে। শাস্ত্রী থাকবেন আর শাস্ত্রীয় ধারাভাষ্য থাকবে না সেটা কি করে হয়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে উদ্বেলিত হলেন তিনি। তিনি টসের জন্য এখন এতটাই বিখ্যাত যে – তিনি যে টস করতে আসবেন সেটা আলাদা করে বলে দিলেন হার্শা ভোগলে। তারপরে শুরু হল, মহানাটকের সেই টস।
রোহিতকে তিনি বললেন পাঞ্চিং মেশিন। আর রিজওয়ান নাকি জ্যাম, আপারকাট আরও কি কি নিয়ে হাজির হয়েছেন। ছাড় দেননি ডেভিড বুনকেও। পুরোটা সময় তাঁর দিকে তাকিয়ে থেকে হেসেছেন রোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
প্রটোকল অনুযায়ী ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের তো অন্তত আর হাসার কথা না। তিনিও হেসেছেন, এমনকি ডেভিন বুনের কথা বলতে গিয়েও আকাশ-পাতাল এক করেছেন শাস্ত্রী। তাঁর নামের আগে ‘ফরমার হেভিওয়েট ক্রিকেটার’ বলার সাথে সাথেই আসলে সবাই হেসে দেন।
তবে, যখন আপনি সামান্য একটা বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে যাবেন, তখন ভুল হবেই। সেটাই হল রবি শাস্ত্রীর সাথে। টসে জিতেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, কিন্তু শাস্ত্রী রোহিতকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হোয়াট ইউ হ্যাভ ডিসাইডেড?’
রোহিত যেন হতভম্ব। সেই ছাপ কথায় রেখে একটু খোঁচা মেরে রোহিতকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার ঠিক করাতে তো আর কিছু যায় আসে না। ওরা টস জিতেছে। তাই আমরা বোলিং করবো।’
উত্তেজনায় লাগাম টানার কাজ আর যাই হোক রবি শাস্ত্রীর নয়। তিলকে তাল করায় ওস্তাদ ধারাভাষ্যকার বনে যাওয়া এই সাবেক কোচ ও ভারতীয় গ্রেট। সেটা করতে গিয়েই ভুল করে ফেলেন তিনি। তবে, এর আগে তিনি যা যা করেছেন, সেটা অবশ্য মন্দ করেননি।