অভিষেকে হাফ সেঞ্চুরির ঘটনা রয়েছে মাত্র তিনটি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে, স্রেফ তিনজন নিজেদের অভিষেককে রঙিন করতে পেরেছিলেন। দ্বাদশ আসর দ্বারপ্রান্তে, কিন্তু অভিষেকে নিদেনপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করার শেষ ঘটনাটা ঘটেছে ২০১৬ সালে। দীর্ঘ এই সময়ে এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়নি কোন নাম।
এই তালিকার শুরুটা হয়েছিল মিজানুর রহমানের হাত ধরে। বিপিএলের প্রথম আসরে, ব্যক্তিগত প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মিজানুর বরিশাল বার্নাসের বিপক্ষে। দুরন্ত রাজশাহীর এই ব্যাটার ১৮১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন। ওপেনার মিজানুর, ৫২ বলে ৬৫ রান করে আউট হয়েছিলেন। তাকে খানিকটা ধীর হতে হয়েছিল দ্রুত তিন উইকেট পতনের কারণে।

সেই ম্যাচটা অবশ্য ২২ রানে হেরেছিল দুরন্ত রাজশাহী। ইয়াসির আলী চৌধুরি অবশ্য তেমনটি হতে দেননি। নিজের অভিষেক ম্যাচে তিনি দূর্দান্ত পারফরম করেন। ৫২ বলে ৬৩ রানের সময়োপযোগী একটা ইনিংস খেলে গেছেন তিনি। তার দলও চিটাগং ভাইকিংস স্কোরবোর্ডে ১৮০ রান জমা করতে সক্ষম হয়।
২০১৫ সালের সেই ম্যাচটিতে সিলেট সুপার স্টার্সকে শেষ অবধি পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছিল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম ম্যাচটি ১ রানের এক শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নিয়েছিল। ঠিক তার এক বছর পর নাজমুল হোসেন শান্ত খেলতে নামের তার প্রথম বিপিএল ম্যাচ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সিতে সেদিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন শান্ত।

১৬২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাদেরকে ছুড়ে দিয়েছিল চিটাগাং ভাইকিংস। শান্ত চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে, ৪৪ বলে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। তার কল্যাণে পরাজয়ের ব্যবধানই স্রেফ কমাতে পেরেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের বাকিদের ভয়াবহ ব্যর্থতা একটা প্রান্ত থেকে স্রেফ অসহায়ের মত অবলোকন করে গিয়েছিলেন তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত।











