দেখতে দেখতেই যেন পরিণত হয়ে উঠছেন রিশাদ হোসেন, ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা বয়স ভিত্তিক দলে নিজেকে প্রমাণের আগেই জাতীয় দলে চলে আসার পর ধীরে ধীরে নিজেকে শাণিত করছেন তিনি। প্রতিটা ম্যাচেই মিলছে সেটির প্রমাণ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তো রীতিমতো আনপ্লেয়েবল হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর বল খেলতেই পারেনি দলটির ব্যাটাররা।
রশিদ খান কিংবা অ্যাডাম জাম্পার মত যারা এখন লেগ স্পিনারদের মাঝে শীর্ষে তাঁরা কেউই ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন না। বলতে গেলে, ম্যাচ খেলতে খেলতেই তাঁরা এতদূর এসেছেন। টাইগার লেগিও হাঁটছেন একই পথে, যার ছাপ দেখা গেল এবার।
এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে স্রেফ সাত রান খরচ করেছেন এই ডানহাতি, তাঁর পুরো স্পেলে আসেনি একটি বাউন্ডারিও। এরই মধ্য দিয়ে মর্যাদার এক রেকর্ড গড়েছেন তিনি, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে আর কোন বাংলাদেশি বোলার এত কম রান খরচ করে চার ওভারের কোটা পূর্ণ করতে পারেনি।
বরাবরের মতই ইনিংসের সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন রিশাদ। সেই ওভারে চারটি ডট বল আদায় করে নেন তিনি; নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন, কোন রানই দেননি! দুই ওভার শেষে তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ২-১-২-০, নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ধারা অব্যাহত ছিল পরের দিকেও।
ব্যক্তিগত তৃতীয় ও চতুর্থ ওভার মিলিয়ে কেবল পাঁচ রান দিয়েছেন এই তারকার, বিনিময়ে অবশ্য মিলিন্দ কুমারের উইকেটও শিকার করেছেন। পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান করা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ১০৪ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে সেটার পিছনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা মুস্তাফিজুর রহমানের হলেও পরোক্ষ ভূমিকা আছে এই লেগিরও, তিনিই মাঝের ওভারে রানের চাকা টেনে ধরেছিলেন, চাপ বাড়িয়েছিলেন।
লেগ স্পিনারের বিশেষত্ব ঠিক এখানেই কবজির মোচড়ে তাঁরা ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিতে পারেন। তবে হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে করা পারফরম্যান্স নিয়ে মাতামাতির কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এমন পারফরম্যান্স বড় দলগুলোর বিপক্ষে দেখাতে পারলে দারুণ ব্যাপার হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।