‘আমি নেট অনুশীলনে তাকে সব সময় আউট করি’। দু’হাত দু দিকে প্রসারিত করে এভাবেই নিজের কৃতীত্ব জাহির করেছেন ঋষাভ পান্ত। কিন্তু, জাসপ্রিত বুমরাহের আছে ভিন্ন বক্তব্য। ঋষাভের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোর বোলিং অ্যাকশন অবৈধ।’
সময়ের অন্যতম বোলার জাসপ্রতি বুমরাহ। বল হাতে প্রতিপক্ষের কলিজার পানি শুকিয়ে দিতে জানেন তিনি। তবে মাঝেমধ্যে তারও প্রয়োজন পরে ব্যাট হাতে দলকে সহয়তা করার। তাইতো প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ভারতের নেট অনুশীলনের এমন এক দিনে ঋষাভের মনে হল, ‘একটু দুষ্টমি করা যাক।’
তিনি জাসপ্রিতের সাথে মজায় মেতে উঠলেন। বুমরাহ তার বল খেলতে চাইল না, ঋষাভ তখনই বলে উঠলেন, ‘আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একটা উইকেট আছে।’ যেন বোঝাতে চাইলেন তিনি মোটেও খারাপ বোলার না। নেট তিনখানা বল ছোড়ার পরই সে বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়।
ঋষাভের বল অনায়াসে হেসে-খেলে গাইড করেন জাসপ্রিত। ঋষাভকে বলেন, ‘তুই ফাজলামো করলে আমিও করব’। এরপর ঋষাভ যেন খানিক সিরিয়াস- তিনি বললেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, আমি তাহলে এখন বাউন্সার মারব।’ যদিও একফালি হাসি লেগেই ছিল ঋষাভের মুখে।
তিনি বাউন্সার করলেন বটে। কিন্তু হাত ভেঙে থ্রো করার মত করে তিনি বল ছুড়লেন। সেই বলে সজোরে পুল শট খেলেছনে জাসপ্রিত বুমরাহ। দুইজনের মধ্যে ঝগড়া- একজন বলছে ছয়, আরেকজন বলছে আউট। তখন ঋষাভ শরণাপন্ন হলেন বোলিং কোচ মরনি মরকেলের। মরকেল বললেন, ‘সে তাকে আউট করেছে কিন্তু।’ এরপর আর ঋষাভ কথাই বলতে দিলেন না মরকেলকে।
এ যাত্রায় ঋষাভের জয় হয়েছে। কিন্তু ঋষাভ হয়ত ব্যাটিং প্রান্তে বুমরাহকে মোকাবেলা করতে চাইবেন না। তখন নিশ্চয়ই প্রতিবারই জয় হবে জাসপ্রিতের।