বুমরাহ ফিরলেন ইংলিশদের যমদূত হয়ে

জাসপ্রিত বুমরাহ এমনই, মাঠে নামলেই ফাইফার তুলে নেন। হেডিংলির পর লর্ডসেও সেটাই করে দেখালেন। ইংলিশদের যমদূত হয়ে আবারও ফিরে এলেন স্বমহিমায়।

জাসপ্রিত বুমরাহ এমনই, মাঠে নামলেই ফাইফার তুলে নেন। হেডিংলির পর লর্ডসেও সেটাই করে দেখালেন। ইংলিশদের যমদূত হয়ে আবারও ফিরে এলেন স্বমহিমায়।

লর্ডসের মাটিতে নিজের প্রথম ফাইফার। ক্যারিয়ারের ১৫তম। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, ১৫ ফাইফারের ১৩টিই এসেছে বিদেশের মাটিতে। বুমরাহর মান যাচাই করার জন্য বোধহয় এর থেকে বেশি কিছু দরকার পড়ে না।

শুরুটা করেছিলেন হ্যারি ব্রুককে দিয়ে আর শেষটায় ফিরিয়েছেন জোফ্রা আর্চারকে। মাঝখানে ভেঙে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড।

 

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বেন স্টোকসকে ফিরিয়েছেন দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে। সেঞ্চুরি করা জো রুট যখন গলায় কাঁটার মতো বিঁধছিলেন, তাঁকে স্টাম্প উপড়ে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন। ঠিক পরের বলটাতেই ক্রিস ওকসকে তুলে ম্যাচের মোমেন্টাম নিয়ে এসেছেন নিজেদের দখলে।

শেষমেষ ৩৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। যা হতে পারতো আরও বেশি। প্রতিপক্ষ যখন ভয় ধরায়, বুমরাহর হাতে শুধু বলটা ধরিয়ে দিলেই হয়। বাকি কাজটা তাঁর ম্যাজিকাল ডেলিভারির।

প্রথম টেস্টেই ফাইফার নিয়েছিলেন, একাই লড়াই করেছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে ছিলেন না ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য। তবে না খেললেও যে ছন্দ হারাননি তিনি। তাই তো তৃতীয় টেস্টে এসেই আরও এক ফাইফার তুলে নাম লেখালেন লর্ডসের অনার্স বোর্ডে।

 

জাসপ্রিত বুমরাহ দলের লাক্সারি এনে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে দেয়। প্রতিপক্ষের স্টাম্প ভেঙে–চুরে গুড়িয়ে দেয়। বুমরাহ এমনই, যার হাতে বল থাকলে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link