ভারতের বিপক্ষে রাজকোট টেস্টে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে ইংল্যান্ড, স্বাগতিকদের কাছে ৪৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ইংলিশরা। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওভালে ৫৬২ রানে হেরেছিল দলটি, এরপর আর কখনোই এত বড় পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়নি তাঁদের। আর এই বিধ্বস্ত অবস্থার জন্য বাজবল অ্যাপ্রোচকেই দায়ী করছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা।
ডেইলি টেলিগ্রাফে মাইকেল ভন লিখেন, ‘ইংল্যান্ডের এই দলটি তাঁদের মতো করে খেলতে একরোখা আচরণ করছে। তাঁরা টেস্ট ক্রিকেট বাঁচাতে আগ্রহী, এই নিয়ে তাঁরা খুবই রোমাঞ্চিত। অথচ তাঁদের উচিত নিজেদের উন্নতি করা, এখনো অনেক জায়গায় ভাল করার সুযোগ আছে।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘এই দলটা নিউজিল্যান্ডে জিততে পারেনি, অ্যাশেজ জিততে পারেনি। এভাবে খেলতে থাকলে তাঁরা ভারতের মাটিতেও হারতে যাচ্ছে। দিনশেষে একটা দলকে কিন্তু সিরিজ জয় দিয়েই বিচার করা হয়।’
অন্যদিকে মাইকেল আথারটন প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ধ্বসকে দায় করছেন হারের জন্য। তিনি বলেন, ‘যেকেউ বেন ডাকেট এবং ইংল্যান্ড দলের ইতিবাচক মানসিকতা এবং মানসিক দৃঢ়তার প্রশংসা করতে পারে। কিন্তু মাঝে মাঝে তাঁরা আত্মবিভ্রমে ভোগে। তাঁদের মতে, সতর্কতার সাথে খেলাটা বাজবল নয়।’
এই সাবেক তারকা আরো বলেন, ‘এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখিয়েছে। এজন্যই ডাকেটের এমন ব্যাটিংয়ের পরেও প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তাঁরা।’
যদিও নাসের হুসেইন সমালোচনা করার চেয়ে পরমার্শ দেয়ার দিকেই মনোযোগী ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড যদি ভুলগুলো বিশ্লেষণ না করে তাহলে বাজবল কেবল একটি কাল্ট ফিগারে পরিণত হবে যেটিকে প্রশ্ন করা যায় না। আমি তাঁদের মন্ত্র পরিবর্তন করতে বলছি না, শুধুমাত্র শেষ কয়েকটি ম্যাচ পর্যালোচনা করে এই উত্তর খুঁজতে বলব যে কিভাবে আরো উন্নতি করা যায়।’
ইংলিশ আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবার্গ অবশ্য মজা করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘রিপ বাজবল। ইংল্যান্ড রীতিমতো অপমানিত হয়েছে।’