সিন্ডিকেট ভেঙে ফিরতে হবে বাংলাদেশ ফুটবলকে

বাংলাদেশ দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে, বাংলাদেশ দলের উত্থান দেখা যাচ্ছে চোখের সামনে, এর আগে এই অনিয়মের অচলায়তন ভাঙতে হবে। ৪-৩ গোলের এই পরাজয়ের এই ম্যাচ থেকেই ভেঙে চুড়ে শুরু হোক নতুন অধ্যায়।

মুখ চেপে মাটিতে বসে পড়লেন হামজা চৌধুরী। জার্সিতে মুখ ঢেকে ততক্ষণে মাটিতে শুয়ে পড়েছেন ফাহমিদুল ইসলাম। সামিত সোম ক্ষুব্ধ, রেফারিকে গিয়ে কি একটা যেন বলছেন বারবার। ‍দু:স্বপ্ন! স্বপ্নভঙ্গ কিংবা দূর্ভাগ্য! যাই বলা হোক না কেন – বাংলাদেশের হতাশা কোনো ভাবেই লাঘব হবে না।

শেষ ২০ টা মিনিট বাংলাদেশ দল নিজেকে উজাড় করে দিয়ে খেলেছে। ফাহমিদুল ইসলাম, সামিত সোম আর জামাল ভূঁইয়া মাঠে নামা মাত্রই এই দলটা হয়ে উঠেছিল অন্যরকম। লেফট উইংয়ে আসলেন জায়ান আহমেদ। হংকং চায়নার রক্ষণ ভাগ কাঁপিয়ে দিলেন প্রতিটা মুহূর্তে, তাঁর পায়ে বল যাওয়া মানেই অন্যরকম এক উত্তেজনা, আরও বড় কিছুর প্রত্যাশা, কে বলবে তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছে।

সমতা ফেরানো গোলটা তাঁরই বানিয়ে দেওয়া। এর আগে দ্বিতীয় গোলটা দারুণ এক লব থেকে বানিয়ে দিয়েছিলেন ফাহমিদুল ইসলাম। ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ, মনে হচ্ছিল খুব সহজ একটা ম্যাচ জিততে যাচ্ছে হংকং। সেই পথেই ছিল তাঁরা। কিন্তু, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দল ঘুরে দাঁড়াতে জানে।

তবে, তারপরও কিছু যদি-কিন্তু থাকে। ম্যাচের প্রথম ৫৫-৫৬ মিনিট তাঁদের মাঠেই নামায়নি কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। ফাহমিদুল-জায়ানরা বেঞ্চ গরম করেছেন, অপেক্ষায় ছিলেন সামিত-জামাল। কারণ, কোচের খেলাতে হবে দুই সোহেল রানাকে, সাদউদ্দিন-তাজউদ্দিন – দুই ভাইকে। বাংলাদেশ দল যে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ২৫ মিনিটেই একাধিক গোল হজম করল, সেটার দায় ভিষণ বাজে রকমের প্রথম একাদশের জন্য।

সামিত সোমকে চাইলেই বেঞ্চে রাখা যায় না, জায়ান যে মানের খেলা প্রথম ম্যাচেই খেলেছেন – তিনি আরও বেশি প্লেয়িং টাইম ডিজার্ভ করেন। কিন্তু, যার যেটা প্রাপ্য, যার যেটা জায়গা সেটা তাঁকে দিলে আর কাবরেরাদের সিন্ডিকেট টিকবে কিভাবে!

বাংলাদেশ দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে, বাংলাদেশ দলের উত্থান দেখা যাচ্ছে চোখের সামনে, এর আগে এই অনিয়মের অচলায়তন ভাঙতে হবে। ৪-৩ গোলের এই পরাজয়ের এই ম্যাচ থেকেই ভেঙে চুড়ে শুরু হোক নতুন অধ্যায়।

Share via
Copy link