২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে এ ফরম্যাটে আর খেলেননি রোহিত শর্মা। তাঁর অবর্তমানে এ সময়কালে ভারতকে বেশির ভাগ সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। যদিও অ্যাঙ্কেলের ইনজুরিতে এ অলরাউন্ডারও বর্তমানে রয়েছেন মাঠের বাইরে। পুরোপুরি সেরে উঠে মাঠে ফিরতে এখনও তাঁকে অপেক্ষা করতে মাস খানেক। হার্দিক পান্ডিয়া না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের চলমান সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুরিয়াকুমার যাদব।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ হতে না হতেই ভারতের ক্রিকেট পাড়ায় নতুন গুঞ্জন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে হয়তো গুডবাই জানাতে যাচ্ছেন রোহিত শর্মা। তবে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে, বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র বলেছে, গত এক বছরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দিকে নজর ছিল বলে রোহিত কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেনি। নির্বাচকদের চেয়ারম্যান অজিত আগারকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে তার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তিনি ফিরবেন।
এমনকি আগামী দক্ষিণ আফ্রিকার সফর দিয়েই রোহিত শর্মা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও গুঞ্জন আছে, বিরাট কোহলির মতো সাদা বলের ফরম্যাট থেকে সাময়িক বিরতি নিতে চান ভারতের এ অধিনায়ক। তবে সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এক মাস বাদে টি-টোয়েন্টি দলে হার্দিক পান্ডিয়া ফিরলে অধিনায়ক হবেন কে? কিংবা রোহিত যদি সরাসরি বিশ্বকাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরেন, তবে কি অধিনায়ক হিসেবেই তিনি ফিরবেন?
এমনিতে রোহিতের অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক হিসেবে মন্দ করেননি হার্দি পান্ডিয়া। তাঁর অধীনে ১৬ ম্যাচে ৫ হারের বিপরীতে ১০ টাতেই জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। সব মিলিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে তাঁকেই বিবেচনা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিশ্বকাপ কিংবা তার আগে রোহিত শর্মা ফিরলে কি তবে ক্যাপ্টেন্সি হারাবেন হার্দিক পান্ডিয়া? অনুমিত প্রশ্নই বটে।
এ ছাড়া গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের উদ্বোধন করেছেন ঋষাভ পন্ত, ঈশান কিষাণ, শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তাঁদের মধ্যে কিষাণ, জয়সওয়াল ও গায়কোয়াড় আছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দলেও।
রোহিতের অনুপস্থিতিতে গত প্রায় ১ বছর বেশ ভাল পারফর্মই করেছেন এ ওপেনাররা। প্রশ্ন উঠছে এখানেও। রোহিত ফিরলে তো বাদ পড়তে ফর্মে থাকা এই তরুণ ক্রিকেটারদেরই একজনকে। সে ক্ষেত্রে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা কতটা বাস্তবিক হচ্ছে, সেই প্রশ্নও থেকে যায়।