এক ওভারে চার উইকেট, আইপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। যুজবেন্দ্র চাহাল গড়লেন বিরল এক কীর্তি। চাহাল এক বিচিত্র চরিত্র। মাঠের বাইরে হাস্যরসে মেতে থাকতে দেখা যায়। আর ময়দানে তিনি ধ্বংসযজ্ঞ চালান বল হাতে। এদফা চেন্নাই সুপার কিংস হল তার ধ্বংসাত্মক রুপের বলি।
এদিন উইকেট প্রাপ্তির শুরু করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির উইকেট তুলে নিয়ে। অথচ চাহালের প্রথম বলেই ধোনি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় বলেই ফিরলেন চাহাল দারুণ প্রতাপের সাথে। পুরো চিপক স্টেডিয়ামকে নিশ্চুপ করে দিলেন চাহাল।
হলুদ আর্মির সকল আনন্দে পানি ঢেলে দিলেন চাহাল। কিন্তু চিপক হয়ত তখনও আন্দাজ করতে পারেনি, চাহালের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হতে চলেছে আরও তিনজন। মাঝের একটা বলে দীপক হুদা দুই রান নিলেন। এরপরের বলে তিনিও চাহালের শিকার।
এরপর টানা দুই বলে আনশুল কাম্বোজ ও নুর আহমেদ ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তারপরই আয়েশি ভঙ্গিমায় রাজার বেশে মাঠে শুয়ে রইলেন চাহাল। যেন এতক্ষণ যা হল, সেসব তার হাতের ইশারায় হয়েছে। পুরো মাঠটাই তার রাজত্ব। বাকি সবাই এখানে তার অধিনস্ত।
এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এটিই প্রথম হ্যাটট্রিক। এখন পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক চাহাল। লিকলিকে শরীর নিয়ে তার ছোঁড়া প্রতিটা বলই যেন বিষবাণ। ব্যাটারদের কাবু হতেই হবে, উইকেট তাদের দিতেই হবে। চাহাল যে এক চৌকস শিকারি।
ধোনিকে আউট করলেন অফ স্ট্যাম্পের বাইরের লেগব্রেক বলে। হাওয়ায় ভাসিয়ে দীপক হুদাকে প্রলোভন দেখিয়েছেন অফ স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরে। কাম্বোজের জন্যে ছিল স্ট্যাম্প বরাবর ফুলার লেন্থের খানিকটা দ্রুতগতির বল। আর শেষ বেলায় নুর আহমেদকে আবারও ঝুলিয়ে দিলেন।
চারটি উইকেট নিয়েছেন তিনি চারটি ভিন্ন ধাঁচের বলে। চারটি ভিন্ন লেন্থ, চার ধরণের গতি আর বৈচিত্র্যের মিশ্রণে একওভারেই নিজ দলকে খেলায় ফিরিয়ে আনলেন। চ্যাম্পিয়ন বোলারের বৈশিষ্ঠ্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করলেন যুজবেন্দ্র চাহাল।