ভারতের বিপক্ষে হতাশাজনক পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ১১৯ রানে গুটিয়ে দিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তাঁরা, নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে ছয় রান দূরে থামতে হয়েছে। এমন পারফরম্যান্সের পর স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে তাঁদের নিয়ে; বাদ যাননি শহীদ আফ্রিদি, ওয়াসিম আকরামের মত কিংবদন্তিরাও।
অবশ্য দু’জনেই মাঠের খেলার চেয়ে বেশি ড্রেসিংরুমের বিভাজন নিয়েই বেশি সমালোচনা করেছেন। আফ্রিদি বলেন, ‘একজন অধিনায়ক সবাইকে একত্রিত করতে পারে, ঐক্যবদ্ধ করে দল হিসেবে খেলতে অনুপ্রাণিত করতে পারে। আবার সে চাইলে ড্রেসিরুমের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। বিশ্বকাপের পর আমি সরাসরি কথা বলব এসব নিয়ে।’
তবে পাকিস্তান দলকে নিয়ে কথা বললে নিজের জামাতা শাহীন শাহ আফ্রিদির ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর মতে, আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় অনেকে তাঁকে পক্ষপাতী ভাবে।
এই সম্পর্কে সাবেক পাক অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার সাথে শাহীন শাহ আফ্রিদির এমন সম্পর্ক আছে যে, আমি দল নিয়ে কিছু বললেই মানুষ মনে করে জামাতাকে সমর্থন করছি বা তাঁর পক্ষে কথা বলছি।’
আফ্রিদির বাঁকা মন্তব্যের সুর ধরে এরপর ওয়াসিম আকরাম বড়সড় অভিযোগ করেছেন পাকিস্তান জাতীয় দলকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘স্কোয়াডে এমনও ক্রিকেটার আছে যারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, তুমি তোমার দেশের জন্য খেলছো। আর এমনটা হলে ঘরে বসিয়ে রাখা উচিত।’
মূলত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব নিয়ে ঝামেলার শুরুটা হয়েছিল। বাবর আজমকে সরিয়ে সেবার শাহীনকে অধিনায়ক করা হয়, কিন্তু কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাঁকে পুনরায় বাদ দিয়ে ফেরানো হয় বাবরকে।